তালের শাঁসে রয়েছে গুণও। শুধু শাঁস নয়, তালের রস, গুড়, পাকা তাল, এসব অত্যন্ত মজাদার খাবার। মরসুমি ফলের মধ্য তাল শাঁসেরও ব্যাপক কদর বেড়েছে। আর যখন লিচুর ফলন কম তখন তো বলার কিছু নেই। জেলার শহর, স্বাস্থ্য বিভাগের সামনে, চৌরাস্তার মোড়ে, পৌরসভার সামনে, শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে এবং ফুটপথ সহ নানা জায়গায় চোখে পড়ে ধারালো ‘দা’ দিয়ে কেটে শাঁস বের করে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
advertisement
আরও পড়ুন: রানাঘাট থেকে সুদূর নেদারল্যান্ডস! বাংলার শিল্পীর আঁকা ছবি আকাশপথে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশ
মাথাভাঙ্গা ব্রিজের পাশে সাড়ি বদ্ধভাবে দেখা মিলল তালের শাঁস। বিক্রেতা নারায়ণ ঘোষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি এ মরসুমে তাল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছেন। কিন্তু অন্য সময় পেশা হিসেবে বিভিন্ন কাজ করেন। ভরত বিশ্বাস জানান, কেউ একটু তরল, আবার কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ কাদি তাল বিক্রি হয়। এভাবেই তালের মরসুম এলে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চারটি তাল শাঁস ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়। গরমে শাঁসের কদর একটু ভিন্ন। এসব তালের শাঁস কৃষ্ণপুর, পাবাখালি, শিব নিবাস মাজদিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে বিক্রি করা হয়। এক একটি তালগাছ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যারা এই তালগাছ কিনছেন তারা তাল পেড়ে নিয়ে গিয়ে বাজারে বিক্রি করে মুনাফা পাচ্ছেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। ফলে বলা যেতেই পারে তালগাছ অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
Mainak Debnath