সূত্রের খবর, রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিজেপি-কে নিয়ে যে 'ভয়' রয়েছে, তা কাটাতে এবার বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হচ্ছে গেরুয়া শিবির। বিশেষ করে, সামনে যখন পঞ্চায়েত ভোট। এদিন বাসন্তীর সভায় তারই যেন ঝলক দেখা গেল এদিন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বললেন, " CAA লাগু হলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। সহ নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন। ভারতবর্ষের নাগরিক হলে কারোর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়ায়। বিজেপির বাংলার সভাপতি হিসাবে আমি কথা দিচ্ছি।"
advertisement
এরপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, "লকডাউনের সময় বাড়িতে রেশন পৌঁছনো থেকে ভ্যাকসিন- এর ব্যবস্থা করা, সবকিছুই করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই নরেন্দ্র মোদিই ভারতবাসীর আসল 'বন্ধু'।"
আরও পড়ুন: 'প্রক্সি সরকারকে সরিয়ে দিন', মেঘালয়ের সভা থেকে মমতার হুঙ্কার
বাসন্তীর সভামঞ্চে সিএএ নিয়ে সংখ্যালঘুদের বার্তা দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও প্রায় একই কথা বলেন সুকান্ত। বলেন, "CAA নিয়ে এখনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ভারতবর্ষের কোনও সম্প্রদায়ের মানুষেরই কোনও দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। CAA লাগু হলেও যাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক তাঁরা ভারতবর্ষেই থাকবেন। কাউকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা হবে না।"
এদিনের মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘুদের বার্তা দেন মিঠুনও। বিজেপি নেতার কথায়, "সঠিক ভোটার কার্ড এবং আধারকার্ড যদি থাকে, কেউ আপনাকে তাড়াবে না। নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। ভুল প্রচার হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: পানশালার গায়িকাকে ফ্ল্য়াটে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, কসবায় ধৃত ব্য়ান্ডমাস্টার
বুধবার সকালে নিউটাউনে সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীর উদ্দেশে রওনা দেন মিঠুন চক্রবর্তী। বাসন্তীতে পৌঁছে প্রথমে তিনি এবং সুকান্ত যান বাসন্তী ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের আশ্রমে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পরে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন মিঠুন। আবাস দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মতো বিষয়কে ইস্যু করে এদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে বাসন্তীতে পথে নামে বিজেপি।
বাসন্তী ভারত সেবাশ্রম থেকে সোনাখালি বাজার হয়ে এগোয় বিজেপির এই প্রতিবাদ মিছিল। মিছিলের পুরোভাগে ম্যাটাডোরে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার এবং অগ্নিমিত্রা পালেরা। নীচে পায়ে হেঁটে ঝান্ডা হাতে এগোচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা।
মিছিলে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা থাকলেও মিঠুন চক্রবর্তীতে চাক্ষুষ করতে রাস্তার দুপাশে ভিড় জমান বহু মানুষ। তাঁদের দিকে কখনও হাত নেড়ে, কখনও জোড়হাত করতে দেখা যায় মিঠুনকে।