বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল ভার্সেস আমরা সবাই। আমাদের সঙ্গে যাঁরাই আসবেন, সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলকে হারাতে চাই।’’ বিজেপি আর সিপিআইএমের জোট। পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দকুমারের কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে এই জোটই হারিয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। ফলাফলের চব্বিশ ঘণ্টা যেতে না যেতেই বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের মুখে রাম-বাম জোটের পক্ষে জোর সওয়াল। তা হলে কি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের হাতিয়ার হবে নন্দকুমার মডেল? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘নিচুস্তরে কোনও বুথে কেউ কোথাও যদি তৃণমূলকে হারাতে পারে সঙ্গে আছি।’’
advertisement
তৃণমূলের ভাঙন ধরাতেও কৌশলী বার্তা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র। ‘‘তৃণমূলে যদি কেউ টিকিট না পায় তাহলে আমাদের দলে স্বাগত।’’ কার্যত এই বলে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদেরও বার্তা দিলেন সৌমিত্র বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। যদিও তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, নন্দকুমার মডেলের কোনও প্রভাব পড়বে না পঞ্চায়েত ভোটে। কংগ্রেস, সিপিআইএম যেমন শূন্য হয়েছে। ওরাও হবে। আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিটি বুথে ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতব।’’
এদিকে নন্দকুমার মডেলের প্রশংসা করলেও সৌমিত্রর জোট-সওয়ালের পাশে নেই তাঁর দলেরই নেতা দিলীপ ঘোষ। কিংবা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘বিজেপি- সিপিআইএমের সঙ্গে জোট হবে না। কারণ সিপিআইএম দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক।’’ দীর্ঘদিন ধরেই রাম-বাম জোটের অভিযোগে সরব তৃণমূল। এবার খোলাখুলি ভাবেই এই জোটের পক্ষে সওয়াল করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তা হলে কি পঞ্চায়েত ভোটে নিচুস্তরে নন্দকুমারই বিরোধীদের মডেল? জল্পনা তুঙ্গে নানা মহলে।