দলীয় নেতা কর্মীদের মিষ্টি মুখ করিয়ে উৎসাহ দিতেও দেখা গেল তাকে। রবিবার সকালে জয়পুরের ময়নাপুর বাজারে সেই জনসংযোগ করতে দেখা গেল তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যা সুজাতা মণ্ডলকে। ভোটে জেতার পরেও এলাকায় মাটি কামড়ে সুজাতা। যা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। সুজাতা কি আগামী লোকসভার ভোটে লড়াইয়ের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে রাখতে মাঠে পড়ে রয়েছেন। যদিও সে দাবি মানতে নারাজ সুজাতা। তার দাবি, মানুষকে কথা দিয়েছিলেন পালিয়ে যাবো না, আপনাদের সাথে থাকব। সুজাতার এই জনসংযোগকে যদিও কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিজেপি।
advertisement
আরও পড়ুন: অত্যন্ত সঙ্কটজনক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, চিকিৎসায় মিলছে না ইতিবাচক সাড়া!
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁ-কে জেতানোর কারিগর ছিলেন স্ত্রী সুজাতা। স্বামীকে জেতাতে স্বয়ং মাঠে নেমেছিলেন স্ত্রী সুজাতা। বিষ্ণুপুর লোকসভার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত একাই প্রচার করে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেই স্বামীকে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন স্ত্রী সুজাতা। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের কাছে বিষ্ণুপুর লোকসভা তুলে দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সঙ্গে মিটিং? তৃণমূলেই ফিরেছেন সৌমিত্র খাঁ? বিস্ফোরক BJP সাংসদ নিজেই
সুজাতার এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ থেকে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু লোকসভার পরেই সুজাতা ও সৌমিত্রের সাংসারিক জীবনে ধরে ফাটল। সেই ফাটল রাজনৈতিক ভাবেও শুরু হয়ে যায়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজেপির ঘর ছেড়ে তৃণমূলের ঘরে ফেরেন সুজাতা। এরপরেই সৌমিত্র ও সুজাতার মধ্যে দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পেয়ে আরামবাগ থেকে লড়াই করে সুজাতা। তবে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে।
২০২২ সালে সৌমিত্র ও সুজাতার মধ্যে পাকাপাকি ভাবেই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা সম্পন্ন হয়। বিধানসভায় না জিতলেও সুজাতা পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের চেনা মাটিতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। জয়পুর ব্লকের জেলা পরিষদের ৪৪ নং আসন থেকে বিপুল ভোটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের সুজাতা। ভোটে জেতার পরে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে সুজাতা। জনসংযোগের মধ্য দিয়ে লোকসভার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নিচ্ছেন সুজাতা। যদিও সুজাতা তা মনে করছেন না।
