প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চোখের পলকে আগুন বিধ্বংসী চেহারা নেয়। গ্রাস করে ফেলে গোটা অফিস। খবর পেয়ে ছুটে আসে কাঁকড়তলা থানার পুলিশ ও দুবরাজপুর অগ্নি নির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন। দীর্ঘ চেষ্টার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ভেতরের সমস্ত কাগজপত্র, যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটার ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ওই অফিসঘরের অবস্থা এমনই যে ওখান থেকে আস্ত অবস্থায় কোনও কিছু উদ্ধার করার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
advertisement
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কৃষ্ণেন্দু মিত্র, যিনি ওই সংস্থায় সিকিউরিটি গার্ড ও সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেন তিনি বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, আমি এদিন অফিস কন্টেনারের একেবারেই কাছেই ছিলাম। হঠাৎই চোখে পড়ে কন্টেনারের ভেতর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত কোনও যন্ত্রপাতি অতিরিক্ত গরম হয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই ভেতর থেকে আগুনের শিখা বেরিয়ে আসে। তারপর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে পুরো কন্টেনার। আগুনের তাপে চারপাশ গরম হয়ে যায়, বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে কালো ধোঁয়া। আমরা কয়েকজন মিলে দূর থেকে চেষ্টা করেছিলাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই কোনরকমে প্রাণ হাতে নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যায়।
এই প্রসঙ্গে দুবরাজপুর দমকল কেন্দ্রের ওসি কৃষ্ণদয়াল বসু ফোন মারফত জানান, কন্টেনারটি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হত। নথি, কম্পিউটার সবকিছুই পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুন লাগল তা বলা কঠিন। তবে আমরা দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।