বর্তমান সময়ে যেগুলো বিয়ে বা অন্নপ্রাশনের মতো অনুষ্ঠানে নিয়ে আসছে এক বিশেষ ঐতিহ্যের সৌন্দর্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে শ্বেতার হাতের তৈরি এই সমস্ত পণ্যের চাহিদা এখন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্বেতা জানান, “জীবনের এক কঠিন সময়ই তাকে এই পথে নিয়ে এসেছে। ২০১৪ সালে এক দুর্ঘটনায় পায়ে চোট পাওয়ায় দীর্ঘ দেড় বছর তাঁকে বাড়িতেই থাকতে হয়েছিল। সেই সময়ের একাকীত্ব আর অবসরই তাকে এই পথ খুঁজে নিতে প্রেরণা দেয়। ছোট্ট আকারে বাড়িতে শুরু করা সেই শিল্পযাত্রা আজ রূপ নিয়েছে এক বৃহৎ উদ্যোগে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই কাজকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করছেন তিনি।”
advertisement
আরও পড়ুন: কোণঠাসা কাস্তে, ভবিষ্যৎ অন্ধকারে! মেশিনের চাহিদা বাড়তেই আর ঘুরে তাকাচ্ছেন না চাষিরা
শ্বেতার এই অসাধারণ শিল্পীসত্তায় আজ গর্বিত তার মা-বাবা। মা প্রতিমা চক্রবর্তী বলেন, “আমার বিয়ের আগে থেকে আমিও এই ধরনের কাজ করতে ভালবাসতাম। কিন্তু অনেক কিছু অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছিল। আজ আমার মেয়ের মধ্যে সেই অসম্পূর্ণ স্বপ্নগুলোরই পূর্ণতা দেখছি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রঘুনাথপুরের মেয়ে শ্বেতা আজ প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন যদি সত্যিকারের হয়, আর তাতে থাকে পরিশ্রমের দীপ্তি, তবে সেই স্বপ্ন একদিন নিজের আলোয় চারদিক আলোকিত করবেই।





