আরও পড়ুনঃ ‘সাপ মারা নয় উদ্ধার’ স্লোগান পরিবেশকর্মীদের, সাপ নিয়ে সচেতন হচ্ছে গ্রাম-শহর
কঠিন ভূ-প্রাকৃতিক দিক থেকে। এর প্রথম শৃঙ্গটি উঠতে গেলে কিছু জায়গায় ৭০ ডিগ্রি খাড়াই দেওয়াল দিয়ে উঠতে হয়। আর এই এমনই শৃঙ্গ জয় করে বাড়ি ফিরে এলেন তনুশ্রী ভট্টাচার্য। তনুশ্রী ভট্টাচার্যের কথায়, ‘ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে এগিয়ে যাওয়া। ট্রেকিং শুরু করি ২০১৯ সাল থেকে। ২০২২ সালে দুটি কোর্স করি আমি। তবে এই প্রথম পর্বত আহরণের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া। তবে যে জায়গায় গেছি আমরা, সেখানে মানুষ যেতে পারেন না গাড়ি করে, সেখানে গেছি আমরা। তবে এই শৃঙ্গ জয় করে সত্যি ভাললাগছে।’
advertisement
জানা যায়, ১৪ অগাস্ট লে শহর থেকে কাঙিয়াৎসের বেসক্যাম্পের (৫,০০০মি) উদ্দেশ্যে রওনা দেন তনুশ্রী ভট্টাচার্য-সহ মোট ৮ জন অভিযাত্রীর দল। ওই অভিযাত্রী দলটি ৫,৩০০ মিটারের কোংমারু-লা পাস টপকে বেসক্যাম্পে পৌঁছায় ১৬ তারিখ। তিনি বলেন, ‘লাদাখের মারখা ভ্যালির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঙিয়াৎসে-১ (৬,৪২৪মি:) এর উপরের ক্যাম্পে ২ টো লোড ফেরি দিলাম বাকিরা মিলে। সামিট ক্যাম্পে ও লোড ফেরি হল। ২ দিনেই প্রায় ৪৫০ মিটার ফিক্স রোপ লাগানো হয়। পূর্বদিকের শক্ত বরফের দেওয়াল ধরে সোজা গিরিশিরায় উঠে আসা। তারপরেই শৃঙ্গ।’ ২১ অগাষ্ট রাতে তনুশ্রী-সহ অভিযাত্রী দলটি শৃঙ্গ জয়ের অভিযান শুরু করে। পরের দিন অর্থাৎ ২২ অগাস্ট কাঙ ইয়াৎসে-১ জয় করেন।
আরও জানা যায় কাঙ ইয়াৎসে-১ শৃঙ্গ জয় করার পর তনুশ্রী থেমে থাকেননি। দু’দিন বিশ্রাম নিয়ে আবারও এগিয়ে যান কাঙ ইয়াৎসে-২ শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে। যার উচ্চতা ৬,২৭০ মিটার। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ ও তুষার ঝড়ের কারণে কাঙ ইয়াৎসে-২ জয় করার আগেই অভিযান বাতিল করতে হয়। তবে লাদাখের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করে মুর্শিদাবাদ জেলার এই শিক্ষিকা এই অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন। তিনি প্রমাণ করলেন বাড়িতে মহিলারা শুধু ঘরের কাজে সীমাবদ্ধ নয়, চাইলে পাহাড় জয় করা যায়। তনুশ্রীর মায়ের কথায় কথায়, ‘বাড়ি মেয়ে বলে শুধু বাড়িতে থাকবে এটা নয়। আমি গর্বিত মেয়ে পর্বত শৃঙ্গ জয় করে ফিরে আসায়।’
কৌশিক অধিকারী