ছোট থেকেই অভাব অনটনের সংসারে বেড়ে ওঠা শ্যামল বিশ্বাসের। ছোট থেকে দারিদ্রকে আঁকড়ে ধরে বড় হলেও পড়াশোনায় কোনও ত্রুটি ছিল না তাঁর। বর্তমানে সরকারি বড় পদে আসীন হলেও সমাজের প্রান্তিক মানুষগুলোর খোঁজখবর নিতে আজও তিনি ভোলেন না। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরে। নিজে গরিব ঘরে জন্মগ্রহণ করে লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সেজন্য আজও গরিবের ব্যথায় প্রাণ কাঁদে তাঁর। বহু গরিব মানুষের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করেন তিনি। এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে তিনি সাক্ষাৎ যেন ঈশ্বরের দূত। ডাক্তারির মাধ্যমে নিজেকে তিনি নিয়োজিত করেছেন মানবসেবার কাজে।
advertisement
আরও পড়ুন : লক্ষ্য হিমাচলের সিনকুন সাউথ, শেরপা ছাড়াই শৃঙ্গ অভিযানে সোনারপুরের পর্বতারোহী দল
একদিকে অফিসে নিজের কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফেরার পর ছুটে যান নিজের চেনা হৃদয়পুর রেলস্টেশনে, অসহায় দুঃস্থ মানুষের হাতে দুটো খাবার, বস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্য। প্রাকৃতিক কোনও বিপর্যয়েও তিনি থেমে থাকেন না। মহারাষ্ট্রের লাতুরের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় ছুটে গিয়ে টানা সেবা করেছেন আহতদের। করোনার সময়ও সমানভাবে নিরন্তর চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন এই চিকিৎসক। দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম ও কার্যত নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও রোগী দেখে গিয়েছেন শ্যামলবাবু। মানবদরদী চিকিৎসক শ্যামলকুমার বিশ্বাসকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠন নানা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ডাক্তারবাবু সত্যিই আজ এলাকার মানুষের কাছে সাক্ষাৎ ভগবানের দূত। তিনি ছোট থেকে স্বচক্ষে অভাব অনাটন আর লড়াই সংগ্রাম দেখে বড় হয়েছেন। সেজন্যই হয়তো বা কারওর দুরবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারেন না।