TRENDING:

Success Story: ইচ্ছেটাই আসল! কটূক্তি, অভাব কিছুই দমাতে পারেনি! ঠোঙা বানিয়ে শিখেছেন ছবি আঁকা, সেই মেয়েই আজ সফল শিল্পী

Last Updated:

Success Story: পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী দুই ব্লকের ছাতনি গ্রামের প্রিয়াঙ্কা ঘোষ দত্ত হাজার বাধা সত্ত্বে হাল ছাড়েন নি। তার লড়াই আজ তাকে গড়েছে সফল শিল্পী।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল আর্ট কলেজে পড়াশোনা করার। আর্থিক প্রতিকূলতার কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে হাল না ছাড়া সেই চাষির মেয়ে আজ দুশোরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীর আঁকার দিদিমণি। পুজো পার্বণে প্যান্ডেলের থিমের কাজের জন্যও ডাক আসে বহু জায়গা থেকে। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী দুই ব্লকের ছাতনি গ্রামের প্রিয়াঙ্কা ঘোষ দত্ত। ছাতনি গ্রামেই ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা। তিনি বাংলায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তবে বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করলেও মনের মধ্যে ছিল ছবি আঁকার নেশা। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই তিনি ছবি আঁকা শিখতেন।
আঁকার দিদিমণি প্রিয়াঙ্কা ঘোষ দত্ত
আঁকার দিদিমণি প্রিয়াঙ্কা ঘোষ দত্ত
advertisement

আর্ট কলেজে পড়ার স্বপ ভঙ্গ হলেও পরবর্তীতে ঠিক করেন তিনি ছবি আঁকা নিয়েই এগিয়ে যাবেন। সেইমত কলকাতার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তিনি ছবি আঁকার জন্য ভর্তি হন। তবে সেখানে ছবি আঁকা শেখার জন্যও একটা মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন ছিল। তাই সেই খরচের যোগান দিতে একসময় তাঁকে কাগজের ঠোঙা তৈরি করে উপার্জনও করতে হয়েছে। দীর্ঘ পরিশ্রমের পর আজ তিনি সফলতা পেয়েছেন। দিদিমণি এবং মহিলা শিল্পী হিসেবে তাঁর একটা নিজের পরিচিতি গড়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বহু কটূক্তি শুনতে হয়েছে। তবে আমি হাল ছাড়িনি। আমার স্বামী আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এই জায়গায় আসতে পেরেছি আমার খুব ভাল লাগে এখন।”

advertisement

আরও পড়ুন: কালো থেকে রাস্তার রঙ হয়ে গেল নীল! চেনা রাস্তা হয়ে গেল অচেনা! কোথায় ঘটল এমনটা

প্রিয়াঙ্কা দেবী নিজের বাড়িতে আঁকা শেখানো ছাড়াও বিভিন্ন ক্লাবেও আঁকা শেখাতে যান। এছাড়া বর্তমানে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আঁকা শেখান। তাঁর হাতে আঁকা ছবি দেখলে সত্যিই ভাল লাগবে সকলেরই। বিয়ের পরেও তিনি এই নেশা ছাড়তে পারেননি। সংসারের সব কাজ সামলানোর পরেও ছবি আঁকা শেখান। তবে তিনি তাঁর স্বামীর কাছে সবসময় সাহায্য পেয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা দেবীর স্বামী শুভ দত্ত বলেন, “ওর আঁকা ছবি দেখে আমারও ভাল লাগে। ওর এই পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানায়। আর শুধু আমি নই, প্রত্যেকেটা স্বামীর উচিত তাদের স্ত্রীর পাশে থাকা।”

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

প্রত্যন্ত গ্রামের চাষির মেয়ে আজ আঁকার দিদিমণি। মানুষের কটূক্তি, অবহেলা এড়িয়ে বহু পরিশ্রম করে আজ তিনি এই জায়গায় পৌঁছেছেন। বড় বড় পুজোর প্যান্ডেলের থিমের কাজও তিনি করেন। ভবিষ্যতে বড় সুযোগ পেলে তিনি তাঁর প্রতিভাকে এক অন্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কম খরচে সহজ পদ্ধতিতে চাষে লাভ এনে দিতে পারে মুসুর, খেসারি ও সরিষা!
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Success Story: ইচ্ছেটাই আসল! কটূক্তি, অভাব কিছুই দমাতে পারেনি! ঠোঙা বানিয়ে শিখেছেন ছবি আঁকা, সেই মেয়েই আজ সফল শিল্পী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল