শহরে রয়েছেন বহু মহিলা গাড়ি চালক। তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত কিন্তু পেট্রোল পাম্প মানেই যেন পুরুষকর্মী। বিভিন্ন বড় বড় শহরে কোথাও কোথাও পেট্রোল পাম্পের মহিলা কর্মী দেখা গেলেও ছোট শহরের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা খুবই কম। আর সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত পেট্রোল পাম্প প্রায় নেই বললেই চলে। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান কালনা রোড প্রতিদিনই বহু গাড়ির যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে আর এই রাস্তার ওপরে অবস্থিত একটি পেট্রোল পাম্প। এই পেট্রোল পাম্পে রয়েছেন ছয় জন মহিলা কর্মী ও একজন পুরুষ কর্মী। একজন পুরুষকর্মী থাকলেও পেট্রোল পাম্পটি মূলত পরিচালনা করেন মহিলারাই। মালিক থেকে কর্মী সকলেই মহিলা।
advertisement
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতন ঘুরতে এসেও অনেকে মিস করেন ‘এই’ ৫ বাড়ি! যেসব জায়গায় গেলে খুঁজে পাওয়া যায় রবি ঠাকুরকে
পূর্ব বর্ধমানের এই প্রথম সম্পূর্ণ পেট্রোল পাম্পের রাস মহিলাদের হাতে। তেল দেওয়া থেকে গাড়ির চাকায় হাওয়া দেওয়া সবটাই তারা সামলাচ্ছেন দক্ষতার সঙ্গে। আর এই কাজ করেই পরিবারের মুখে হাসি ফুটাচ্ছেন তারা। আর তাদের এ কাজে উৎসাহ দেন এলাকাবাসীরাও। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হন বহু মহিলা। সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসে যেভাবে মহিলা পেট্রোল পাম্প কর্মীরা তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাদের এই কাজের প্রশংসা করছেন ক্রেতারাও। তারা চান এভাবেই যাদের মহিলারা এগিয়ে যান এবং আগামী দিনে আরও কাজের সুযোগ পান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অশোক কুমার হাজরা বলেন, “এই পেট্রোল পাম্পের মালিক মহিলারাই আর আমরা চাই মহিলারা সব ধরনের কাজে এগিয়ে যাক। তাই প্রথম থেকেই এই চিন্তাভাবনা ছিল মেয়েরা এখানে কাজ করবে। পাশাপাশি কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়েও বিশেষ নজর রাখা হয়।” অন্ধকারকে জয় করার অদম্য জেদ আর সব প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে স্বাবলম্বী হওয়ার তাদের এই লড়াই অনুপ্রেরণা যোগাবে হাজার হাজার মহিলাকে। তারা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন, সুযোগ পেলে আর সাহস করে এগিয়ে এলে মেয়েরাও পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যে কোনও কাজই করতে পারেন দক্ষতার সঙ্গে। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অনুপ্রেরণা যোগাবে রাজ্যের অন্যান্য ছোট ছোট শহরেও মহিলাদেরও। খুলে দেবে নতুন দিগন্ত। যেখানে ভয় নয়, থাকবে শুধুই আত্মবিশ্বাস আর এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্র।





