আর সেই অসাধারণ প্রতিভাই আজ তাঁকে আলোচনার কেন্দ্রে এনে দিয়েছে। দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে উঠেছে অনুস্মিতার নাম। তবে এখানেই থেমে যেতে রাজি নয় অনুস্মিতা। আরও বড় স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগোচ্ছে সে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর কোন ‘দেশে’ একটাও ‘মশা’ নেই বলুন তো…? শুনলেই চমকে উঠবেন, কনফার্ম!
advertisement
আগামী দিনে এশিয়া বুক অফ রেকর্ড থেকে শুরু করে গিনেস বুক অফ রেকর্ড পর্যন্ত নিজের নাম তুলতে চায় এই প্রতিভাবান মেয়ে। বাদ্যযন্ত্রের বাইরেও জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নজর কাড়ছে সে। আন্তর্জাতিক কারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে জিতে এনেছে সোনার পদক। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ডও স্থান পেয়েছে তার ঝুলিতে।
শুধু গান আর খেলাধুলাই নয়, টেলিভিশন জগতেও সমান জনপ্রিয় অনুস্মিতা। একাধিক বাংলা রিয়েলিটি শো-তে অংশগ্রহণ করেছে, বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিয়মিত গানও গায় সে। প্রতিটি মঞ্চে নিজের স্বতন্ত্র প্রতিভা দিয়ে জয় করে নিচ্ছে দর্শকের মন।
পড়াশোনাতেও সমান মনোযোগী এই প্রতিভাবান কিশোরী। স্কুলে ভালো র্যাঙ্ক ধরে রেখে সে প্রমাণ করেছে, সঙ্গীত ও খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও সমান মনোযোগ দেওয়া সম্ভব। বাবা-মায়ের অকুণ্ঠ সমর্থন ও অনুপ্রেরণাই তাকে তিন দিকেই এগিয়ে যাওয়ার শক্তি জুগিয়েছে।
আজ মাত্র ১৫ বছর বয়সেই একের পর এক সাফল্যে ভরিয়ে তুলেছে কাঁথির এই গর্ব। ১৫টি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তোলার পর পরিবারের আশা, একদিন গিনেস বুক অফ রেকর্ডেও স্থান করে নেবে অনুস্মিতা মাইতি। তার অদম্য প্রতিভা, পরিশ্রম ও অধ্যবসায় ভবিষ্যতে দেশ-বিদেশে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবে, এমনটাই বিশ্বাস তার শুভানুধ্যায়ীদের।





