অভাবের মধ্যে তার ইচ্ছে নিজের সংসারের কাজ সামলে স্টেজে ওঠার। স্টেজে উঠে সকলকে দেখিয়ে দেওয়ার যে কিছু না থাকার মধ্যেও স্বপ্ন দেখা সম্ভব। আজকালকার বডি বিল্ডিং এর যে মার্কেট সেখানে আধিপত্য বিস্তার করেছে সাপ্লিমেন্ট, হরমোনাল ইঞ্জেকশন এবং বিভিন্ন মেডিক্যাল সাব্সটেন্স। উমাশংকরের পক্ষে এসব সম্ভব ছিল না। তার জন্য প্রয়োজন চিকিৎসকের মতামত, পার্সোনাল ট্রেনার এবং অনেক টাকার। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ ঘন্টা রোদে বৃষ্টিতে আগুনের সামনে কাজ করে আর ফেনা ভাত খেয়ে বডি বিল্ডিং করেছে সে। এর আগে স্টেজে সফলতাও পেয়েছেন তিনি, ৬৫ কেজিতে বাঁকুড়ায় প্রথম হয়েছিলেন উমাশংকর। প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরবর্তী প্রতিযোগিতার জন্য।
advertisement
মানুষের নেশা যে মানুষকে কতদূর নিয়ে যেতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ উমাশংকর। বডি বিল্ডিং তার নেশা, ডোকরা তার পেশা। উমাশংকর জানান, বাঁকুড়া শহরের ড্রাগনস জিমকে তিনি মনে করেন একটি মন্দির, আর তার শরীরকে তিনি মনে করেন সেই মন্দিরের দেবতা। তিনি নিজেই হলেন সেই দেবতার সবচেয়ে বড় ভক্ত। এভাবেই একটু একটু করে নিজের স্বপ্ন গড়ছে উমাশঙ্কর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
১৬-১৭ বছরের ছেলেরা যখন জিমে যায় তখন তাদের প্রত্যেকের চোখে স্বপ্ন একটি সুন্দর শরীরের। কিন্তু বডি বিল্ডিং এখন এক খরুচে নেশা, বাবা-মায়ের ধারণা প্রচুর টাকা খরচ হয়ে যাবে। নিতে হবে স্টেরয়েড কিংবা ইঞ্জেকশন। তবে উমাশংকর বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন বিকনা গ্রাম থেকে ঘরের খাবার খেয়ে, নিজের কাজ সামলে, সংসার সামলে করছেন হার্ডকোর বডি বিল্ডিং। এরপরেও কী আপনার সন্তানকে জিম থেকে দূরে রাখবেন?





