অনুব্রতে বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন বীরভূমের শিবঠাকুর মণ্ডল। মঙ্গলবার সেই মামলায় জামিন পান বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। দুবরাজপুরে আদালতে ২ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পান অনুব্রত।
এদিন সরকারি আইনজীবী অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করে এদিন আদালতে জানান, গত ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত। এর মধ্যে ৬ দিন অনুব্রত কোনও কথা বলেননি। সপ্তম দিনে তিনি কিছু তথ্য দিয়েছিলেন। তাতে এই মামলার আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। ফলে অনুব্রতকে আরও কিছু সময়ের জন্য হেফাজতে রাখা প্রয়োজন। তবে সব পক্ষের কথা শুনে এদিন অনুব্রতকে জামিন দেয় আদালত।
advertisement
এরপরেই নলহাটির সভামঞ্চ থেকে কেষ্টর বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ করতে থাকেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা আটকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পুলিশ কৌশল নিয়েছিল, ভেবেছিল আরও একটা নতুন কেস দেবে। কিন্তু উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে পুলিশ বুঝতে পেরেছে, যে বিপদে পড়েছে। তাই চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। পুলিশের নতুন পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। জামিন পেলেন অনুব্রত। তাই অনুব্রত মণ্ডলের তিহার যাত্রা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।"
আরও পড়ুন: সহযোগিতা করবে বর্ধমান মেডিক্যাল, রেণু খাতুনের হাত প্রতিস্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ জেলা পরিষদের
শুভেন্দুর কথায়, "মাছ বিক্রেতা তিহারে যাবে, পিছনে পিছনে যাবে বাকি সভাই।" এ দিনের সভা থেকে দলীয় কর্মীদের পঞ্চায়েতের বার্তাও দেন শুভেন্দু। বলেন, "গোটা বীরভূম জেলায় দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলতে গেলে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে।"
প্রসঙ্গত, গরুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই দিল্লির তিহার জেলে বন্দি মামলার মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। এরপরে কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও দিল্লি নিয়ে গেছে ইডি। এরপরে, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি-র আবেদনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলাও করেন অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। ইডি-র আর্জিতে সায় দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ঠিক এই সময়ই অনুব্রতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনেন বীরভূমের শিবঠাকুর মণ্ডল। সেই মামলায় গ্রেফতারির পরে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছিল অনুব্রতর।