মমতাকে হারানোর চ্যালেঞ্জ অবশ্য প্রথম নয়। ১৮ জানুয়ারি দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের তেখালি মাঠে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ঘোষণা করেন তিনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে পারেন। তার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছিলেন, মাননীয়কে হাফ লাখ ভোটে হারাব। পাশাপাশি শুভেন্দু ক্রমাগত বলে যেতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটো আসনে দাঁড়াতে পারবেন না। লড়তে হবে একটি কেন্দ্র থেকেই।
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুরকে বড় বোন এবং নন্দীগ্রামকে মেজো বোন বলে আখ্যা দিয়ে দাবি করেছিলেন ভবানীপুরেও ভালো প্রার্থী দেবেন। সেখান থেকেই জল্পনা চাউর হয়, মমতা কি তবে দুই কেন্দ্রেই দাঁড়াচ্ছেন? তখন বিজেপির যুক্তি ছিল, দুই কেন্দ্রে দাঁড়ানোর অর্থ এক কেন্দ্রে হারলেও অন্য কেন্দ্র দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা।
সে সময় বিজেপি নেতাদের গণ হারে ট্যুইট করতে দেখা যায়। বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি কেন্দ্র থেকেই দাঁড়াতে হবে। আজ যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই একটি কেন্দ্র হিসেবে নন্দীগ্রামকেই বেছে নিচ্ছেন তখন আবার বিজেপি নেতারা পাল্টা বলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ভয় পেয়েছেন। রাহুল সিনহা, অর্জুন সিং, শুভেন্দু অধিকারী-সকলের মুখেই একই বার্তা।
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রিয় ভবানীপুর তুলে দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গোটা দক্ষিণ কলকাতাই তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। মমতার যেমন কোনও শঙ্কা নেই নন্দীগ্রাম জয়ের ব্যাপারে, ঠিক তেমনি অকুতোভয় মমতার সৈনিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে ভোটের ময়দানে অবশ্য শেষ কথা বলবে জনগণেশ।