করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লক ডাউনের জেরে বেশির ভাগ পুরুষ মহিলা এখন গৃহবন্দি।বাইরে বের হলে বাড়তে পারে বিপদ। তাই সকলেই এখন বাড়িতে থাকাই শ্রেয় বলে মনে করছেন। শুধুমাত্র সপ্তাহে একদিন বাজার হাট করা ছাড়া গৃহ বন্দি থাকছেন অনেকেই। আবার অনেকে এই অবস্থায় পেশার প্রয়োজনে বছরের আর পাঁচটা দিনের মতোই বাইরে বেরচ্ছেন। ডাক্তার নার্স, ওষুধের দোকানের কর্মী, সাফাই কর্মীদের মতোই প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে চলেছেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরাও।তাই তাঁদের উৎসাহ দিতে এগিয়ে এলেন চলচ্চিত্র জগতের নায়িকা শুভশ্রীর বাবা ও মা।
advertisement
বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের বাড়ি থেকে সকালেই স্ত্রী বীণা গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন শুভশ্রীর বাবা দেবপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। সকাল থেকেই বর্ধমান শহরের গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক সিগন্যালের মোড় গুলিতে কর্মরত ট্রাফিক কর্মীদের হাতে গোলাপ ফুল,ও আর এস,পানীয় জল,বিস্কুট তুলে দেন বীণা দেবী ও দেব প্রসাদ গাঙ্গুলী। তীব্র দাবদাহের মধ্যে এই উষ্ণ অভিবাদন পেয়ে খুশি ট্রাফিক কর্মীরা।
নিজেদের জীবন বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন সমাজবন্ধুরা।তাই তাদের উৎসাহ দিতেই এই ছোট উদ্যোগ বলে জানান শুভশ্রীর বাবা দেবপ্রসাদ বাবু।তিনি আরও জানান, শুধু এই ধরনের উদ্যোগই নয়, সমাজের বেশ কয়েক জন সহ নাগরিকের হাতেও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন তারা। আগামী দিনেও সমাজের পাশে দাঁড়াতে এই ধরনের উদ্যোগ আরও বেশী বেশী করে নেবেন বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুর দেবপ্রসাদবাবু ।