স্কুলে পড়া চলাকালীন স্কুলের টালির ছাদের ছাউনি খুলে মাথায় পড়তে পারে এই আশঙ্কা শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের নয় শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিতে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পাঁশকুড়া ব্লকের মহৎপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পাকা দেওয়াল থাকলেও নেই কংক্রিটের ছাদ। টালির ছাদের বেহাল অবস্থা।
আরও পড়ুন- মদের কারখানা বন্ধ করতে কমিটি গঠন! নতুন করে শুরু হবে আন্দোলন
advertisement
প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিদ্যালয়ের খোদ ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকরা।পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মহৎপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা।
টালির ছাউনি দেওয়া, তাঁর পাশের রুমে টিনের ছাউনি দেওয়া মাটি এবং বাঁশের ছাদ। আর তাতেই বারংবার বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। ইটের গাঁথুনি দেওয়াল থাকলেও পাকার ছাদ না থাকার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ক্ষুদে পড়ুয়াদের।
ক্লাসের মধ্যে কখনও মাথার উপর টালি ভেঙে পড়ছে, কখনও আবার বর্ষার সময় টালিভেদ করে ক্লাসরুমে পড়ছে বৃষ্টির জল। অন্যান্য ক্লাসে আবার ক্লাস চলাকালীন ক্লাসের মাটি ও বাঁশের তৈরি ছাদ থেকে কখনো মৃত পাখির হাড়, পোকামাকড়, এমনকি মাটিও ঝরে পড়ে যখন তখন।
যার ফলে এক প্রকার আতঙ্কের মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাসের শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের। ক্লাসের একটি রুমে রাখতে হচ্ছে মিড ডে মিলের চাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাবপত্র।
আরও পড়ুন- হৃদরোগ থেকে শুরু করে মাইগ্রেন! আর কোন কোন সমস্যার সমাধান করে আঙুর
নিচু থেকে ওপর তলা পর্যন্ত লিখিত জানিও কোন লাভ হয়নি বলে জানেন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তিনি জানান , এসআই অফিস থেকে শুরু করে বিডিও অফিস এডিএম অফিস সর্বশিক্ষা মিশন সব জায়গাতেই আবেদন করেছেন স্কুলের কংক্রিটের ছাদ তৈরীর জন্য। তাতেও কোনও সাড়া পায়নি স্কুল। যার ফলে একপ্রকার অসহায় বোধ করছেন তাঁরা। ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষকদের দাবি, কংক্রিটের পাকার ছাদ।
Saikat Shee