মাত্র সাত বছর বয়সে ঝালদার বিরুডি গ্রামের চিন্তার বিয়ে হয় বাঘমুন্ডি থানার দেউলী গ্রামের রামপদ সিং মুড়ার সঙ্গে। রামপদ সিং মুড়া কীর্তন দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন। সংসারের হাল ধরতে ১৫ বছর বয়সে নাচনী পেশায় আসেন চিন্তা। সংসার চালানোর জন্য চিন্তা নাচনী নাচ বা বাই নাচ শুরু করেন। বর্তমানে চিন্তার বয়স ৭৫ ও রামপদর বয়স ৮৫। বয়সের ভারে আর তারা অনুষ্ঠানে যেতে পারেন না। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অভাবের সংসারে সমস্যায় রয়েছেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। সম্বল বলতে চিন্তার শিল্পী ভাতা।
advertisement
আরও পড়ুন: গাছ বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ! খুদেদের কপালে জুটল পুরস্কার, পরিবেশ পেল অক্সিজেনের কারখানা
এ বিষয়ে চিন্তা সিং মুড়া বলেন, সংসারের হাল ধরতে তিনি নাচনী পেশায় এসেছিলেন। সেই সময় সকলেই তাদেরকে ছোট চোখে দেখত। নাচনী নাম শুনলেই ঘেন্না করত। তবে শিল্পী সম্মান তাদের জীবনে আশীর্বাদ হয়েছে। এখন সকলেই তাদের সম্মানের চোখে দেখেন। সরকারিভাবে শিল্পী ভাতা পান তিনি। এ বিষয়ে রামপদ সিং সরদার বলেন, অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি বাজনা বাজাতেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন আর তিনি কোন কাজ করতে পারেন না। কোন রকমের সংসার চলে তাদের। আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিয়েই এক প্রকার জীবন চলছে তাদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে নাচনী নাচ। শিল্পীরাও কোনরকমে দিন কাটাচ্ছেন।সরকারিভাবে শিল্পী মর্যাদা পাওয়ার পর নাচনীদের জীবনে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। সমাজের আর পাঁচটা মানুষদের মত তারাও সসম্মানে বাঁচতে পারেন এখন।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি





