বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে একাদশ শ্রেণীতে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই রাস্তার ধারে ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে সে। চলছে বিজ্ঞান বিষয়ে তার পড়াশোনার খরচও। যুব প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণা।
বিকেল থেকেই বাজারের উপর দোকান দিয়ে বসা। ফুচকা বিক্রি করে মেলে লাভ। সেই লাভের টাকায় চলে সংসার এবং নিজের পড়াশোনা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের এই একাদশ শ্রেণীর ছাত্রের জীবনযুদ্ধ সমাজের কাছে এক দৃষ্টান্ত। বাড়ির ছোট ছেলে সে। বাড়িতে মা, বাবা ও দাদার রয়েছে। দাদা উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে থাকে, বাবাও সংসার চালাতে চলে গিয়েছেন ভিন রাজ্যে। তবে বাড়িতে মা ও সন্দীপ থাকে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জোয়াল টানা এতটাও সহজসাধ্য নয়। তাই একসময়ের তার বাবার পেশাকেই ধরে রেখেছে সে। দাঁতনের কালীচণ্ডী বাজারে ফুচকার দোকান দেয় সে। রেখেছে পাপড়িচাট, মশলামুড়িও।
advertisement
দোকানের লাভের টাকায় চলে সংসারের খরচ। বেশ কয়েক বছর ধরেই ফুচকার দোকান দিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ এবং সংসার চালাচ্ছে সে। রোজগারের অর্থে এবং ঋণ নিয়ে করেছে বাড়ি। তবুও মধ্যবিত্ত পরিবারে থেকে পড়াশোনার খরচ জোগাড় করা এবং সংসার চালানো এতটা সহজ নয়। তাই তার বাবা অন্যত্র কাজে চলে যাওয়ায় ফুচকা দোকান নিয়ে প্রতিদিন বসে সে।
ছোট থেকেই অভাবকে চোখের সামনে দেখেছে। পড়াশোনা থেকে সংসার চালানো এতটা সহজসাধ্য ছিল না পরিবারে। ছোট থেকেই বাবাকে সাহায্য করত ফুচকা বিক্রির কাজে। এর পর নিজেই সংসার চালাতে দোকান দেয় সে। ছেলের কথা বলতে গিয়ে চোখে জল আসে মায়ের। কষ্টকে বুকের মাঝে চেপে রেখে হাসিমুখে ব্যবসা করছে, টেনে নিয়ে যাচ্ছে সংসারের হাল। একাদশ শ্রেণির নাবালক সন্দীপ গোটা সমাজের কাছে অনুপ্রেরণা।