TRENDING:

Struggle Of Poor: হাজার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে টোটো চালায় রাজু, কিন্তু কেউ তাঁর টোটোয় চাপতে চায় না, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

Last Updated:

শারীরিক গড়ন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ রাজু। ফলে অর্থকষ্টে জেরবার তিনি

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম বর্ধমান ,দুর্গাপুর: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে টোটো টেনে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন রাজু। তাঁর বাড়িতে রয়েছে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা ও মা। সংসার চালানোর পাশাপাশি তাঁদের চিকিৎসার ও ওষুধের খরচ যোগাতে তাঁকে হিমশিম খেতে হয়। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে উঠতে পারলেও বালকের মতো গড়ন হওয়ায় তেমন যাত্রী পাননা রাজু। যাত্রীরা তাঁকে বালক মনে করে তাঁর টোটোতে চড়তে ভরসা পান না। এতটুকু বালক নিরাপদে টোটো নিয়ে যেতে পারবে তো? এমনই প্রশ্ন ওঠে যাত্রীদের মনে।
advertisement

শারীরিক গড়ন নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ রাজু।ফলে অর্থকষ্টে জেরবার তিনি। তাঁর বয়স বর্তমানে ৩২ বছর। তবে শরীরের গড়ন বালকের মতোই।বাড়ির গরু,  ছাগল বিক্রি করে তিনি একটি টোটো কিনেছেন। কিন্তু রোজগার করতে গিয়েও পড়ছেন সমস্যায়। শেখ রাজুর শারীরিক গড়ন তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির ক্ষুদে পড়ুয়াদের মত। তাঁর উচ্চতা মেরেকেটে তিন ফুট হবে। ওজন মাত্র ১৭ কেজি। তিনি জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। অভাবের কারণে পড়াশোনা ছেড়ে কাজ করতেন মুদিখানার দোকানে।

advertisement

তাঁর বাবা বছর ষাটের শেখ আহমেদ হোসেন একসময় মাছ বিক্রি করতেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে বছর পাঁচেক হল কাজ করতে অক্ষম। ফলে সংসার চালানোর ভার পড়েছে বালকতুল্য রাজুর কাঁধে।আহমেদের বড় ছেলে শেখ ফিরোজ বিয়ে করে আলাদা থাকেন। একটি মেয়ে, তারও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট ছেলে শেখ রাজু। প্রায় ২০ বছর আগে যখন তাঁরা লক্ষ্য করেন রাজুর শারীরিক গঠন স্বাভাবিক হারে বাড়ছে না, তখন থেকে চিকিৎসা করাতে শুরু করেন। দুর্গাপুরে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানোর পরে পূর্ব বর্ধমান ও কলকাতায় চিকিৎসা করিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।

advertisement

১৯ বছর বয়সে  চিকিৎসার জন্য রাজুকে নিয়ে যাওয়া হয় ভিনরাজ্যে। সেখানে চিকিৎসকরা বলেন, আট বছর বয়সে আনলে চিকিৎসা সম্ভব ছিল। কিন্তু অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মায়ের একমাত্র ভরসা তো রাজুই। তাই সংসার চালাতে টোটো চালানো শুরু করেন। তবে শারীরিক গড়ন দেখে অনেকেই টোটোতে চড়তে চায় না। এছাড়াও টোটো স্ট্যান্ড-এর অন্যান্য টোটো চালকরাও  যাত্রী তুলতে বাঁধা দেয়। কষ্ট করে টোটো কিনেও সমস্যায় দিন কাটছে রাজুর।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

দীপিকা সরকার 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Struggle Of Poor: হাজার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে টোটো চালায় রাজু, কিন্তু কেউ তাঁর টোটোয় চাপতে চায় না, কারণ জানলে চমকে উঠবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল