বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলবে। লকডাউনের এই পর্বে কোন কোন এলাকা এর আওতায় থাকবে তা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । সেই নির্দেশ মতোই বৃহস্পতিবার হাওড়া শহরের বেশ কিছু এলাকায় পুরোপুরি লকডাউনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল পুলিশ। কন্টেইনমেন্ট জোন বলে চিহ্নিত এলাকাগুলির মধ্যে যেসব জায়গায় করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিন বেড়ে চলছে , সেসব এলাকা সিল করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে এদিন। জেলা প্রশাসন ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাওড়া শহর ও গ্রামাঞ্চল মিলিয়ে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা মোট ১২১ টি। তার মধ্যে শহরের ২৭টি এলাকাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে সেই এলাকার রাস্তাঘাট সিল করা হয়েছে। এলাকার দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকা বা পাড়ার মুখে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে বলে দেওয়া হয়েছে, বিধিনিষেধ মান্য না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।হাওড়া সিটি পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কারণ ও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া এসব এলাকায় ঢোকা বা বেরোনো যাবে না। হাওড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে মল্লিকফটক এলাকায় রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেন, পি কে ব্যানার্জি রোড, সালকিয়ার বিভিন্ন এলাকায় এদিন বিকেলে পুলিশকে আগের মতো টহল দিতে দেখা যায়।
advertisement
এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে কলকাতার পরেই রয়েছে হাওড়া। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে করোনা আক্রান্তের তালিকা অনুযায়ী হাওড়াতে নতুন করে ৪২ জন আক্রান্ত ও একজনের মৃত্যু হয়েছে | সংক্রমণের হার সামলাতে আরও একবার লকডাউন হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যে হাওড়া পুলিশের এই তৎপরতায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়াবাসীর মধ্যে । ২৪ জুন প্রকাশিত রাজ্য সরকারের বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, হাওড়া জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,২২৩ জন। এর মধ্যে ৫৬২ জন সক্রিয় করোনার তালিকাভুক্ত। মারা গিয়েছেন ৮৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১,৫৭৭ জন।
DEBASHISH CHAKRABORTY