আরও পড়ুন: এই মিষ্টি খেলে হবে না ডায়াবেটিস! উপকারী মিষ্টি স্বাদেও অনন্য, বলছে সরকার
আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে বাগবাজার সার্বজনীন এর ১৭৫ তম বছর যখন ছিল সেই বছর প্রথম শুরু হয় এই অলপনা আঁকার প্রতিযোগিতা। প্রথম বছর ১৫০ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতার। পরবর্তীতে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে থাকে আলপনা প্রতিযোগিতার প্রসার। এই বছর বাগবাজার সার্বজনীন এর ১৮৯ তম বর্ষ। ১৮৯ তম বছরে এ বছরের মোট প্রতিযোগী সংখ্যা ছিল ৩৫৪ জন। ৮ থেকে ৮০ পুরুষ থেকে মহিলা সকলেই বয়স ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করেন এই প্রতিযোগিতায়।
advertisement
আরও পড়ুন: সারমেয়দের গলায় মালা পরিয়ে পুজো করে হুগলির চন্দননগরে পালন হল কুকুর তিহার উৎসব
এই বিষয়ে বাগবাজার সার্বজনীন এক পুজো উদ্যোক্তা তিনি জানান, আলপনা বাংলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্যময় শিল্প। কালের নিয়মে সেই শিল্প আস্তে আস্তে অবলুপ্তির পথে যেতে বসেছিল। সময়ের অভাবে বা অন্যান্য কারণে বাড়ির মা বোনেরা আলপনা আঁকা থেকে বিরত থাকেন আর সেই কারণেই বাজারের ব্যাপক আকারে চাহিদা প্লাস্টিকের রেডিমেড আলপনার।
বাগবাজার সার্বজনীন সবসময় ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়ে থাকতে পছন্দ করে। তাই পুজো উদ্যোক্তারা মিলে ঠিক করেন বাংলার শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তারা আলপনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন। পরবর্তীতে এই প্রতিযোগিতা এতটাই সফলতা পায় এখন তাদের দেখাদেখি চন্দননগরের বিভিন্ন পুজোমন্ডপে আলপনার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এমনকি এই আলপনার প্রতিযোগিতা দেখে কলকাতায় দুর্গাপুজোর সময়ও বিভিন্ন জায়গায় আলপনা দেওয়ার এখন প্রচলন উঠেছে।
রাহী হালদার