অনেকেই অন্যের জমি ভাগে চাষ করেছেন, আলু তুলতে গিয়ে দেখেন এই ধরনের অদ্ভুত আকৃতির আলুর ফলন হয়েছে জমিতে। এ বার চাষ করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বিঘে প্রতি ৩০ হাজার বেশি খরচ হয়েছে। আলু বিক্রি না হলে তাই কীভাবে টাকা উঠবে বুঝে উঠতে পারছেন না। আরামবাগের কিছু এলাকায় এমন ফলন হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: শহর একটাই অথচ নামের বানান দুটো! কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল?
ঝুমা কিসকু নামে এক ভাগচাষি বলেন, “পাঞ্জাবের আলুবিজ কিনে চাষ করেছিলাম। আলু তোলার সময় গিয়ে দেখি জমির বেশিরভাগ আলু লম্বা আকৃতির হয়েছে। আবার অল্প গোল আলু হয়েছে। ভাগ চাষ করেছিলাম কীভাবে আলু দেব বা কীভাবে খরচা উঠবে তাই বুঝতে পারছিনা। তবে আমাদের অনুমান আলুর বীজে কোনো সমস্যা ছিল। যার কারণে এরকম ফলন হয়েছে। আগেও আলু চাষ করেছি এমন কোনদিনও হয়নি। এভাবে ঠকে যাব ভাবতেই পারছিনা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অপর এক চাষি গঙ্গামনি সরেন বলেন, “আলু তুলতে এসে দেখি লম্বা লম্বা আলু হয়েছে, তার ওপর ফলন কম হয়েছে কেন এমন হয়েছে বুঝতে পারছি না। ১৭০০ টাকা বস্তা বীজ কিনে চাষ করেছিলাম। আমরা জানি আলু গোল হয় কিন্তু লম্বা হবে তা ভাবতে পারিনি। যখন বীজ কিনেছিলাম তখন ভাল বীজ ছিল। ছোট বীজ দেখতেও ভাল ছিল। সার, ওষুধ, ইউরিয়া সব ব্যবহার করেছিলাম তাতেও আলুর ফল এমন হয়েছে।”
কৃষি দফতরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হেডকোয়ার্টার শরদিন্দু পাল জানান, “আলু সাধারণত যেমন মাপের হয় এখানে সেটা হয়নি। কেন হয়নি সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। অনেক সময় রোগ পোকার আক্রমণে হয়। আলু গাছের খাদ্যের অভাবের জন্য হতে পারে। ঠিক কি কারণে সেটা দেখা হচ্ছে।”
রাহী হালদার





