বাজারে পাটের জোগান পর্যাপ্ত রয়েছে। তবুও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছে। শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না সেই সব অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছিলেন আগেই। তাঁর দাবি ছিল, রাজ্যে পাঁচ লাখ পাটের গোলা রয়েছে। ফলে কাঁচাপাট সরবরাহে কোনও সমস্যার কথা নয়। তবুও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কাঁচাপাট গুদামে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। কাঁচা পাটের জোগান পর্যাপ্ত না হওয়ায় জুট মিল বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা। এমনিতেই শিল্পের একটা বড় অংশ করোনার ধাক্কায় জেরবার। এমন পরিস্থিতিতে জুটমিলগুলিকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। শ্রমমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কাঁচাপাট কেউ গুদামজাত করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
advertisement
ব্যবসায়ীদের একাংশ অবশ্য দাবি করছেন, রাজ্যে কাঁচা পাটের গোলা রয়েছে মাত্র এক থেকে দেড় লাখ। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই পাটের জোগান পর্যাপ্ত নেই বাজারে। তবে সরকার সেই দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছে, দশ জুনের মধ্যে গুদামজাত পাট সরবরাহ করতে হবে। না হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন জুট কমিশনার। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের পর শ্রমিকরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন। করোনার ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বহু শ্রমিক। আপাতত তিরিশের বদলে ৪০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চটকলের কাজ চলবে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সব রকম করোনা বিধি মেনেই কাজ হবে চটকলগুলিতে। এই ব্যাপারে মালিকপক্ষকে যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে। জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ চটকলে করোনা বিধি খতিয়ে দেখবে।