ফলে দীর্ঘদিন থেকে বহুবার আন্দোলন সহ একাধিক দফতরে চিঠি লেখে ফ্লাইওভারের দু’পাশে সার্ভিস রোড তৈরির জন্য দাবি জানাতে থাকে। অবশেষে সেই দাবিতে সীলমোহর দিল রাজ্য সরকার। ঝাড়গ্রাম ফ্লাইওভারের দু’পাশে সার্ভিস রোড তৈরি করার জন্য ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। খুব দ্রুত শুরু হয়ে যাবে রাস্তা নির্মাণের কাজ। সার্ভিস রোড নির্মাণের সময় কোনও বাধা না আসে তার জন্য সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক শুভজিৎ গুপ্ত, পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ, পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার, ঝাড়গ্রামের বিএলআরও, ১০ নম্বর এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজিত মাহাতো ও গোবিন্দ সোমানি।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে টাইগার সাফারি! কবে থেকে এমন ভাগ্যবান হওয়ার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ফ্লাইওভার দু’ভাগে বিভক্ত রয়েছে। ফ্লাইওভারের উত্তর দিকে রয়েছে ঝাড়গ্রাম পৌরসভা। দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে ঝাড়গ্রামের জুবলি মার্কেট সহ মূল বাজার। ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রাম পৌরসভার দিকে জাতীয় সড়কের আদলে লোহার রড বেঁধে কংক্রিটের রাস্তা কিছুটা নির্মাণ করা রয়েছে। আর কিছুটা নির্মাণ করলেই পৌরসভার দিকের সার্ভিস রোড তৈরি হয়ে যাবে। অপরদিকে, লোকাল বোর্ড থেকে সাবজি মার্কেট হয়ে যাতায়াত করতে হয় নতুনডিহি, বামদা, কেশবডিহি সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজনকে। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে বা কোন অগ্নিসংযোগের ঘটনা হলে দমকল বা অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত আসতে পারে না। লোকাল বোর্ড থেকে শিব মন্দির মোড় পর্যন্ত ফ্লাইওভারের দু’পাশে সার্ভিস রোড তৈরি হলে জুবলি মার্কেটের হাল ফেরার পাশাপাশি উপকৃত হবে অরণ্য শহরবাসী।
ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক শুভজিৎ গুপ্ত বলেন, “প্রায় ১২ বছর আগে ঝাড়গ্রাম ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে। নানা কারণের জন্য ফ্লাইওভারের দু’পাশে সার্ভিস রোড নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সার্ভিস রোড নির্মাণ করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফ্লাইওভারের দু’পাশে থাকা দোকানদারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং যে সমস্ত দোকানদাররা খাস জায়গায় দোকান করে রয়েছে তাদের বিকল্প ব্যবস্থার ভাবনা-চিন্তা চলছে। সার্ভিস রোড নির্মাণের পাশাপাশি দোকানদারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে”।
বুদ্ধদেব বেরা