মঙ্গলবার কাকদ্বীপে ওই মৎস্যজীবীদের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরি, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা, জেলার-সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) পিয়াল সর্দার-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এদিন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন তাঁরা। এর সঙ্গে মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, শতাধিক বাংলাদেশী মৎস্যজীবী আটকে ছিলেন এদেশে। কিছু মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাকদ্বীপে আটকে আছেন ৪৫ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবী। সরকারিভাবে তাঁদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এর সঙ্গে তাঁদের দেশে ফেরানোর পক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
advertisement
বাংলাদেশেও বেশ কিছু ভারতীয় মৎস্যজীবী আটকে আছেন বলে খবর। সেখানে যাতে তাঁদের কোনওরকম অসুবিধা না হয় এবং যাতে তাঁরা সুষ্ঠুভাবে ফিরে আসেন, সেই দিকটি দেখা হচ্ছে বলে খবর। এ'নিয়ে মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী জানান, দেশের আইন মেনে যাতে দ্রুত বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরানো যায়, তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এরসঙ্গে বাংলাদেশে যে সমস্ত ভারতীয় মৎস্যজীবী আটকে রয়েছে, তাঁদেরকেও ফেরানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যাতে তাঁদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেদিকটি দেখা হচ্ছে। খুব শ্রীঘ্রই এই কাজ সম্পন্ন হবে। দুই দেশের মৎস্যজীবীরা যাতে দেশে ফিরতে পারে তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
নবাব মল্লিক