ঘটনা মুর্শিদাবাদের সুতির বহুতালি উচ্চ বিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, সুতি থানার বহুতালি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ৩৭০০ জন। স্থায়ী শিক্ষক সংখ্যা ১৫ জন। তার মধ্যে মহামান্য আদালতের নির্দেশে ১১ জনেরই চাকরি বাতিল হয়েছে। চাকরি বাতিলের কথা ১০ জন শিক্ষক শোনার পরে স্কুল ছেড়ে চলে গেলেও পরীক্ষা চলার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মানবিকতার খাতিরে স্কুল ছেড়ে যেতে পারলেন না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক।
advertisement
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকায় তিনি না থাকলে বিদ্যালয়ের পরীক্ষা পরিচালনা ঠিক মতো করা যাবে না বলেই মনে করেন এই শিক্ষক। তাই যাতে পরীক্ষায় কোনওরকম বাধা বিঘ্ন না ঘটে তাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে আর না থেকেও শুক্রবারও স্কুল এসে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করলেন এই শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, বাইরে থেকে ম্যানেজিং কমিটির সহযোগিতায় গেস্ট টিচার এনে পরীক্ষা চলছে বহুতালি স্কুলে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, অযোগ্যদের জন্য আজকে চাকরি বাতিল হল আমাদেরও। তবে বিদ্যালয়ে বর্তমানে সেমিষ্টারের পরীক্ষা চলছে। সব শিক্ষক চলে গিয়েছেন। পরিক্ষা চালানোর মতো কেউ নেই। আমি মানবিকতার খাতিরে বিদ্যালয়ে থেকে পরিক্ষা পরিচালনা করতে বাধ্য হচ্ছি।
বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার পর বাংলা, ইতিহাস এবং শরীর শিক্ষা টিচার ছাড়া আর কোনও স্থায়ী টিচার নেই। বিজ্ঞান বিভাগে গেস্ট শিক্ষক ছাড়া আর কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই বলেই জানা গিয়েছে। যার কারণে বিপাকে যেমন পড়ুয়ারা ঠিক তেমনই চিন্তিত বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কৌশিক অধিকারী