কিন্তু আচমকাই তৈরি হল এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। পরীক্ষার হলে ঢুকতে গেলে কোনও ধাতব সামগ্রী থাকা চলবে না! পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আগেই নাকি এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু নিয়মের কড়া দড়ি যখন নোয়ার গায়ে এসে পড়ল, তখনই বাঁধল আসল কাণ্ড!
এক বিবাহিতা পরীক্ষার্থী সবার সামনে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন “আমি নোয়া খুলব না। নতুন বিয়ে হলে মেয়েদের জন্য এটা অসম্ভব ব্যাপার। আমাকে যতবার বলা হয়েছে, আমি ততবারই বলেছি, খুলব না।” তাঁর এই একগুঁয়ে অবস্থান দেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে মুহূর্তে রীতিমতো থমথমে হয়ে গেল। পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে অবশেষে তিনি কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্ত যেন আগুনে ঘি ঢালল!
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি-র OMR মডেল কবে পাওয়া যাবে? ‘বদল’-এর পরীক্ষা নিয়ে বড় খবর দিল কমিশন! চাকরিপ্রার্থীরা জানুন
আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থীও আপত্তি তুললেন। “নোয়া খুলে দিলে সমাজে কী বলবে সবাই?” এমন প্রশ্নও উঠল। কিন্তু শেষমেশ নিয়ম মানতে বাধ্য হলেন তাঁরা। একে একে নোয়া খুলে হলে বসে গেলেন পরীক্ষা দিতে। তবে ওই বিবাহিতা পরীক্ষার্থী ছিলেন একেবারে অনড়। ফলত, মোট ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একমাত্র তিনিই পরীক্ষায় বসলেন না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফা SSC-তে পরীক্ষায় বসলেন ৯৩ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী, রাজ্যের বাইরে থেকে কত হাজার আবেদন? বড় খবর
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, “নিরাপত্তার খাতিরে এত কড়াকড়ি ঠিক আছে, কিন্তু সধবা মেয়েদের নোয়া খুলতে বাধ্য করা কি ন্যায়সঙ্গত?” পরিবারের লোকজনও ক্ষোভে ফেটে পড়ে জানিয়েছেন, “নোয়া মানে শুধু অলঙ্কার নয়, এটি একপ্রকার সামাজিক প্রতীক। সেটা খুলতে বলা মানেই আবেগে আঘাত।” অন্যদিকে, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অবশ্য জানিয়েছেন, “এই নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আসেনি।”
তাঁর কথায়, ‘পরীক্ষার নিয়ম মেনে চলা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর দায়িত্ব।’ কিন্তু নিয়ম ও রীতির দ্বন্দ্বই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। একপক্ষ বলছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ধাতব সামগ্রী বাদ দেওয়া জরুরি। অন্যপক্ষের মতে, এমন কড়াকড়ি সামাজিক রীতিকে আঘাত করছে। তবে শুধুমাত্র একজন বাদ দিয়ে প্রত্যেকেই ঠিকঠাক ভাবেই নিয়মমাফিক পরীক্ষা দিয়েছেন। যে পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেননি তাঁর নাম, ঠিকানা জানা যায়নি।