ঝাড়গ্রামের একটি স্কুলে গ্রুপ সি পদে চাকরি করতেন শ্রীকান্তর ভাই খোকন মাহাতো৷ ভাইয়ের চাকরি বাতিল হওয়ায় প্রবল ক্ষুব্ধ মন্ত্রী এবার সরাসরি এসএসসি-কেই চ্যালেঞ্জ করে বসলেন৷ খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর মন্তব্যে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও বিড়ম্বনা বাড়ল রাজ্য সরকারের৷
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের টেটের ৩ হাজার ৬০০ ওএমআর শিট ফের মূল্যায়ন! বড় খবর দিল প্রাথমিক পর্ষদ
advertisement
হাইকোর্টের নির্দেশ মতো যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, সেই তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি৷ সেই তালিকাতেই দেখা গিয়েছে, অযোগ্য প্রার্থীদের ওএমআর শিটের নম্বর অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে৷ এই তালিকায় ২৮৩ নম্বরে নাম ছিল মন্ত্রীর ভাই খোকন মাহাতোর৷ এসএসসি-র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওএমআর শিট-এ মাত্র ১২ নম্বর পেয়েছিলেন খোকন৷ পরে যা বাড়িয়ে ৫৫ করা হয়৷ স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, দাদা শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা এবং বিধায়ক হওয়ার সুবাদেই অযোগ্য হয়েও চাকরি পেয়েছেন খোকন মাহাতো৷
আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে মহা বিপাকে শান্তনু! তালা ভেঙে বাড়ি-রিসর্টে চলছে ইডির চিরুনি তল্লাশি, কী উদ্ধার হল?
ভাইয়ের হয়ে শনিবার জোর সওয়াল করেন শ্রীকান্ত মাহাতো৷ তিনি দাবি করেন, তাঁর ভাই যা পরীক্ষা দিয়েছেন, তাতে তিনি কোনওভাবেই ১২ পেতে পারেন না৷ রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, 'যেদিক থেকে খুশি টেস্ট করা হোক৷ ও প্রশ্নপত্র এবং নিজের যে উত্তরপত্র মিলিয়ে দেখেছে, কোনওভাবে ও ১২ পাবে না৷ আমি চ্যালেঞ্জ করছি, হার্ড কপি, প্রশ্নপত্র আর উত্তর মিলিয়ে দেখা হোক, ও যদি ১২ পায় আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব৷' শ্রীকান্ত মাহাতোর দাবি, এসএসসি-র ওএমআর শিট মূল্যায়নেই ভুল রয়েছে৷
তবে ভাইয়ের হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী৷ শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, 'পরবর্তী সময়ে আমরা ডিভিশন বেঞ্চ, সুপ্রিম কোর্টেও যাবে প্রয়োজনে৷ ও কোনও মতেই ১২ পাবে না৷'
মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা৷ যদিও আত্মবিশ্বাসী শ্রীকান্ত বলেনছেন, 'আমার কথা যদি ঠিক প্রমাণিত হয়, তাহলে যাঁরা ১২ নম্বরকে ৫৫ করা হয়েছে বলে আমার বদনাম করছে, তাদের রাজনীতি ছাড়তে হবে৷'