সুমিতা কর্মকার নদিয়ার কল্যাণীর (Kalyani) বাসিন্দা। ছোট থেকেই অন্ধত্ব তাঁকে গ্রাস করলেও থেমে থাকেনি জীবন সংগ্রামের লড়াই। পরিবারের সাহায্য পেয়ে এগিয়ে যায় পড়াশোনা। বর্তমানে তিনি একজন শিক্ষিকা। তাঁর মনের ভিতর সুপ্ত যন্ত্রণা ছিল। তাঁর দুটি চোখ কারো কাজে লাগবে না সেটা তিনি ভালো করেই জানেন। তাই তাঁর দেহের অন্যান্য অঙ্গ যেন সাধারণ মানুষের ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাজে লাগে ৷ সেই থেকেই মরণোত্তর দেহদানের ভাবনা মনে আসে সুমিত কর্মকারের।
advertisement
আরও পড়ুন- পেট্রোলের চেয়েও দামি টম্যাটো ! ঘুম উড়েছে ক্রেতাদের
শেষপর্যন্ত মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেন তিনি। দেহদানের অঙ্গীকার করে খুশি সুমিতা কর্মকার। ছোট থেকেই জানতেন তাঁর চোখ ভালো হবে না। কেউ চক্ষুদান করলেও সেই চোখ তাঁর কোনও কাজে লাগবে না। কারণ তার চোখের রেটিনা শুকনো। তবে পরিবার কোনওদিনই তাঁকে ফেলে দেয়নি বা তাঁকে সাহায্য করতে অনীহা দেখায়নি। তিনি যখন পড়ানোর দায়িত্ব পান, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সুমিতা দেবীর ক্লাসে অংশগ্রহণ করে।
কখনও বিকাশ ভবন, কখনও কৃষ্ণনগর. আবার কখনও নির্দিষ্ট কোনও স্কুলে পড়ানোর জন্য ছুটে বেড়ান। থেমে নেই তাঁর জীবনের চাকাও।মঙ্গলবার নদিয়ার কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতালে অ্যানাটমি বিভাগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারবদ্ধ হন এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন- ঝুঁকি এড়িয়ে বেশি রিটার্ন, এক নজরে দেখে নিন সুরক্ষিত বিনিয়োগের সেরা ৫ উপায়
সুমিতা কর্মকারের হয়ে সাক্ষী হিসাবে অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেন কল্যাণী পৌরসভার উপ পৌর প্রশাসক বলরাম মাঝি। তিনি জানান, সমাজের কাছে নজির হয়ে থাকবে তার এই অবদান।