রয়্যাল বেঙ্গলের লুকোচুরিতে দিশাহীন বনকর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার বাঘ ধরতে ড্রোনের ব্যবহার। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মণপুর জঙ্গলে পাতা খাঁচা থেকে ২৫ ফুট দূরে নতুন করে বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে। বাঘের ছাপ দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকা ফাঁকা করে পায়ের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিন ওই জঙ্গলে আরও একটি খাঁচা পাতলেন বনকর্মীরা। মধুপুর, ঝিটকা ও লক্ষ্মণপুরে মোট পাঁচটি খাঁচা পাতা হয়েছে। বাঘের গতিবিধি লক্ষ করে মনে করা হচ্ছে ফের মধুপুরেই ফিরে আসতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল।
advertisement
এদিকে পেটে টান পড়ায় বাঘ তাড়াতে জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন ঝিটকার দক্ষিণে আগুন ধরিয়ে দেন এলাকাবাসী। বনকর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান। অন্যদিকে বুধবার রাতেই ঝিটকার জঙ্গলে প্রায় ৫০টি হাতি ফের ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন গ্রামবাসীরা।
বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের সুন্দরবন ও লালগড়ের পরিবেশগত বৈচিত্র্যর জন্য অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বনকর্মীদের।
বাঘের খোঁজে বাধা
-- সুন্দরবনের মাটি ভেজা হওয়ায় সহজেই বাঘের পায়ের ছাপ মেলে
-- লালগড়ের শুকনো মাটি
-- এই সময়ে গাছের পাতা ঝরায় সেভাবে বাঘের পায়ের ছাপ মিলছে না
উঠে আসছে আরও একটা তত্ত্ব। এই এলাকার জঙ্গলে বুনো শুয়োরা, হরিণসহ বিভিন্ন ধরনের জন্তু থাকায়, খাবারের অভাব হচ্ছে না। সে কারণেই হয়তো জঙ্গল থেকে আর বেরোচ্ছে না বাঘ। বনকর্মীদের আশা, ড্রোনে নজরদারির মাধ্যমে বাঘবন্দি অভিযানে মিলবে সাফল্য।