আরও পড়ুন: প্রাচীন এই উৎসবের আকর্ষণ থালার মত বাতাসা আর ফুটবলের সাইজের কদমা
মাত্র দু’জন কাঠ শিল্পী সুযোগ পেয়েছিলেন সরকারিভাবে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে কাজ শিখে আসার। প্রথমে বাঁশের কাজ ও তারপর কাঠের কাজ করেন তাঁরা। কেঞ্জাকুড়া গ্রামেই বাড়িতে কাজ করেন একাধিক মহিলা কাঠ শিল্পীরা। বাড়িতেই তৈরি হয় কাঠের বিভিন্ন সরঞ্জাম। শিল্পী সাধন কর্মকার তাঁর বাড়ির ছাদের পাশে করেছেন একটি সংগ্রহ শালা। সাধন কর্মকার জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যা যা তৈরি করেছে সব ওখানে রাখা আছে।
advertisement
প্রায় ৪০ বছর পুরোনো ৪০ পয়সার কাঠের খেলনা, দু’টাকা চার আনার গরুর গাড়ি সব আছে সংগ্রহশালায়। সাধন কর্মকারের কর্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন চিঠি এবং নোটস ছাড়াও রয়েছে পুরানো দিনের কয়েন এবং পুরানো টিকিট। প্রাকৃতিকভাবে মৌলিক আয়তন নেওয়া বিভিন্ন পাথরের টুকরো আছে। যেগুলি প্রত্যেকটি একটি বার্তা বহন করে। রয়েছে একটি বাবুই পাখির অপূর্ব সুন্দর বাসা। ৬২ বছর বয়সেও কাষ্ঠ শিল্পের প্রতি বিরাট অনুগত্য রয়েছে তাঁর।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আসন্ন শীতকালে বাইরে থেকে আগত বহু পর্যটক বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়াগ্রামে আসেন। এবং এই গ্রামের শিল্পসত্ত্বা, মিষ্টান্ন উপভোগ করেন। চক্ষু বিস্ফরিত করে দেখেন মুড়ির মেলা। তাই এইবার যদি কেঞ্জাকুড়া গ্রামে আসেন তাহলে অবশ্যই ঘুরে দেখুন এই সংগ্রহশালাটি। আপনাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাবেন স্বনামধন্য কাষ্ঠ শিল্পী সাধন কর্মকার।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী