হাবড়ার কলতান প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বারাসত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া, অতিরিক্ত সুপার স্পর্শ নিলাঙ্গী ও অতীশ বিশ্বাস, এসডিও সোমা দাস-সহ অন্যান্য প্রশাসনের আধিকারিকরা। বৈঠকে প্রতিটি পুজো কমিটিকে মণ্ডপের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শব্দবাজি ও শব্দদূষণ রুখতে কড়া বার্তা দেন আধিকারিকরা।
advertisement
পুজো মণ্ডপে প্রবেশ ও বাহিরের ক্ষেত্রে গেট প্রশস্ত রাখার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। টানা গেট না করে, এল শেপের গেট তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুজোর অনুদানের চেক কয়েকটি পুজো কমিটি গুলির হাতেও তুলে দেন পুলিশ সুপার। পাশাপাশি অনলাইনে পুজোর অনুমতি কীভাবে নেওয়া যাবে, তা বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দেন এসডিও সোমা দাস। পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া জানান, রাজ্য সরকার ও হাইকোর্টের নির্দেশিকা মেনেই এবারের পুজো আয়োজন করতে হবে।
তাই প্রতিমার উচ্চতা সর্বোচ্চ ২০ ফুট এবং মণ্ডপের উচ্চতা ৪০ ফুটের মধ্যে রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, কোনও পুজো কমিটির বিরুদ্ধে চাঁদার জুলুমের অভিযোগ এলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ফলে জেলার যেসব পুজো উদ্যোক্তারা প্যান্ডেলের উচ্চতা ৪০ ফুটের অধিক করেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। পাশাপাশি পুজোর দিনগুলিতে জেলার উপর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ক গুলি এমনকি রাজ্য সড়কগুলির ক্ষেত্রেও যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানানো হয়। তবে এবার পুজোয়ে মদ্যপ অবস্থায় ড্রাইভিং করলে মিলবে না কোনও ছাড়। করা হুঁশিয়ারি প্রশাসনের। পথ দুর্ঘটনা রুখতে ও রাস্তায় পুজোর দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই করা ভূমিকা নেবে প্রশাসন বলে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়। এখন দেখার প্রশাসনের এই প্রস্তুতি কতটা ফলপ্রসূ হয় শারদ উৎসবে।