জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় সড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ভিড় হলে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ করা হতে পারে, তবে যশোর রোড খোলা রাখা হবে। ডাকবাংলো মোড় থেকে কলোনি মোড় পর্যন্ত এলাকাটি এবার বিশেষ নজরদারিতে। কারণ, এই অংশে রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় পূজোমণ্ডপ। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে বিশেষ পাস ইস্যু করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। প্রয়োজনে আধার কার্ডের মাধ্যমে ঠিকানার প্রমাণ দেখিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড় পাবেন। চারচাকা গাড়ি সহ বিভিন্ন যান চলাচলে থাকছে নিষেধাজ্ঞা, পরিস্থিতি অনুযায়ী দুই চাকার যানবাহনের উপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্তার বাড়িতে টাকার পাহাড়, সোনার খনি! গুনতে আনা হল মেশিন, মাথায় হাত সিবিআইয়ের
পুলিশ সুপার প্রতিক্ষা ঝারখারিয়া এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, গত বছরের মতোই এবছরও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বজায় থাকবে, তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছু রিলাক্সেশন দেওয়া হবে। এদিন উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস ও এসডিপিও (বারাসত) বিদ্যাগর অজিঙ্কা অনন্ত। সবচেয়ে বড় উদ্যোগ হিসেবে চালু করা হয়েছে একটি বিশেষ ওয়েবসাইট – (kalipujabarasat.in)। এই সাইটে প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীরা জানতে পারবেন – কোথায় পার্কিং জোন, কোন রাস্তায় নো এন্ট্রি, কোন পূজোমণ্ডপে কতটা ভিড়, কী ভাবে সহজে পৌঁছানো যাবে মণ্ডপে, এমনকি সমস্যায় পড়লে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের উপায়ও থাকবে সেখানে।
আরও পড়ুন: ‘পিল লাগবে নাকি’! কলেজ টয়লেটে ছাত্রীর সঙ্গে জোর করে ঘনিষ্ঠতা, পরে ফোনে খোঁজ নিল অভিযুক্ত
বারাসত ও মধ্যমগ্রাম জুড়ে মোট ১০টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বসানো হচ্ছে- বারাসত স্টেশন, ডাকবাংলো মোড়, কলোনি মোড়, হেলাবটতলা, চাঁপাডালি মোড়, মধ্যমগ্রাম চৌমাথা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। দর্শনার্থীরা রিয়েল-টাইমে দেখতে পারবেন কোন মণ্ডপে কতটা ভিড়। পুরো শহর জুড়ে বসানো হয়েছে শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। দুপুর ৩টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলবে কঠোর নজরদারি। ১৯ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বিশেষ ট্রাফিক নিয়ম। তবে প্রশাসনের কড়া নির্দেশ, যেসব পুজো উদ্যোক্তারা জাতীয় সড়কের উপর গেট তৈরি করেছেন, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে সম্ভাব্য সমস্যার ক্ষেত্রে।
কোনও রকম সমস্যা তৈরি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও পিছপা হবে না পুলিশ। সব মিলিয়ে এবারের বারাসাত-মধ্যমগ্রামের কালীপুজোয় পুলিশের এই পরিকল্পনা যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে ভবিষ্যতের জন্য এটি হয়ে উঠতে পারে প্রশাসনিক দৃষ্টান্ত বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
Rudra Narayan Roy