পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় স্বাভাবিক বনাঞ্চল না থাকলেও প্রচুর পরিমাণে বন্যপ্রাণ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রাণী মেছো বিড়াল, গোসাপ, কচ্ছপ সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ লক্ষ্য করা যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঝোপঝাড় যুক্ত জলাশয় গুলিতে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। শিকার উৎসবে মূলত এইসব পশুপাখি শিকার করে একশ্রেণীর আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া থেকে মূলত ট্রেনে করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শিকারিরা প্রবেশ করে শিকার উৎসবের দিনগুলিতে শিকার করার জন্য।
advertisement
শিকার উৎসবে বন্যপ্রাণী শিকার রুখে দিতে গোটা পাঁশকুড়া সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম স্টেশন মেচেদা, কোলাঘাট, ক্ষীরাই, হাউর এলাকাগুলিতে পূর্ব মেদিনীপুর বন দফতরের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির অভিযান শুরু হয়েছে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে টেকনোলজির সহযোগিতা নিয়ে প্রতিটা এলাকার কোনায় কোনায় নজরদারি চালাচ্ছে বনদপ্তর। পাঁশকুড়া সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক ড্রোন। চলছে নাকা চেকিং, মাইক প্রচার, লিফলেট বিলি, সেই সঙ্গে চলছে জনসংযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বোঝানো।
এর পাশাপাশি একই রকম ভাবে রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে বন দফতরের পক্ষ থেকে চলছে স্টেশন মাইকিং। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডি এফ ও অর্ণব সেনগুপ্ত ড্রোন উড়িয়ে নজরদারির কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী শিকার বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। সেই জন্য জেলা পুলিশ-প্রশাসন, রেলওয়েকে নিয়ে অভিযান চালাচ্ছি।’ প্রসঙ্গত শেষ দু’বছর এই তিথিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বন্যপ্রাণ শিকার রুখতে সফল হয়েছিল বন বিভাগ। চলতি বছরেও যাতে শিকার ঠেকানো যায় আগে থেকেই তার প্রস্তুতি নিচ্ছে বন দফতর। মূলত এই সময় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের উৎসবের আড়ালে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেআইনিভাবে বহু প্রাণীর চামড়ার চোরাচালান করে। তাই শিকারীদের আটকাতে জেলার প্রবেশপথগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে বন দফতর।