অন্যদিকে প্রতিভা থাকার সত্বেও বহু পরিবারের ছেলেমেয়েদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থনৈতিক সমস্যা। সেই দিক থেকে, পুলিশের এই প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। সেই সব পরিবারের ছেলে মেয়েদের কাছে বড় সুযোগ। প্রতিযোগিতায় থাকছে নগদ উপহার। বিভিন্ন স্থান অধিকার করতে পারলে পুরস্কার হিসেবে মিলবে নগদ। যার মাধ্যমে লেখাপড়ার পাশাপাশি আবৃত্তি অঙ্কনের মত বিভিন্ন বিষয় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আর সহজ হবে।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নতুন প্রজন্মের মধ্যে লেখাপড়ার পাশাপাশি নানা বিষয়ে আরও মনোযোগ বাড়াতে এমন উদ্যোগ। পাশাপাশি পুলিশ এবং জনসাধারণের মধ্যে এমন নানা উদ্যোগে গড়ে উঠবে নিবিড় সম্পর্ক। পুলিশের প্রতি ভয় কমবে মানুষের। এর মাধ্যমে সমাজে অপরাধমূলক ঘটনা কমবে।
পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সমাজের সংস্কৃতি প্রেমিক মানুষ এবং অভিভাবকরা। বহু অভিভাবক মনে করছেন বড় মাপের এমন প্রতিযোগিতা ছেলে-মেয়েদের মধ্যে আরও শেখার আগ্রহ বাড়বে। অন্যদিকে প্রতিযোগিতায় সফলতা পেয়ে পুরস্কার জিতলে হাতে মিলবে নগদ অর্থ। সেই অর্থ নিজেদের শিক্ষা দীক্ষায় কাজে লাগাতে পারবে। এর মাধ্যমে আরও সফলতার দিকে এগিয়ে যাবার সুযোগ পাবে।
আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বয়স ভিত্তিক নির্দেশিকা রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও রেকর্ড করে পাঠিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। জেলার ছ’টি স্থানে বিভিন্ন বয়সের ছেলে মেয়েরা অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করল। পাঁচলা এবং জগৎবল্লভপুর ব্লকের ছেলে মেয়েরা হাজির হয় জুজারসাহা পিএন মান্না ইনস্টিটিউশনে।
এদিন হাজির ছিলেন, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের আধিকারিক, পাঁচলা ও জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ, পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গুলশান মল্লিক, বল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ, হাওড়া জেলা পরিষদ সদস্য আলকাস মুরশেদ, জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জন কুন্ডু সহ অন্যান্যরা।
রাকেশ মাইতি।