TRENDING:

Jhargram News: টানা বর্ষণের জেরে বন্ধ স্কুল! এলাকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা

Last Updated:

সাত দিন ধরে বন্ধ স্কুল কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকারা না আসায় ক্ষতির সম্মুখীন হন পড়ুয়ারা। এবার ওই পাঁচটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা করতে চলেছে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তন্ময় নন্দী, ঝাড়গ্রাম: সাত দিন ধরে বন্ধ স্কুল কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকারা না আসায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পড়ুয়ারা। এবার ওই পাঁচটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা করতে চলেছে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর। টানা বর্ষণের জেরে ঝাড়গ্রামের বিনপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের ঢোলভাঙ্গা ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তারাফেনী ও ভৈরববাকি কজওয়ের উপর জল উঠে আসায় প্রায় ১০-১৫ টি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সাত দিন ধরে স্কুলে যেতে পারেননি শিক্ষক শিক্ষিকারা, ব্যাহত হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা। ওই বন্যা কবলিত এলাকার এবার পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিক সময়ে তাদের সিলেবাস যাতে শেষ করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করল জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর।
advertisement

আরও পড়ুন: চিপস চুরির অপবাদে নিজেকে শেষ! পাঁশকুড়ার সেই কিশোরের পারলৌকিক কাজ সারলেন বাবা-মা!

উল্লেখ্য গত ১৫ দিন ধরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও জলাধার গুলি জল ছাড়ায় জলস্তর বাড়ে তারাফেনী ও ভৈরববাঁকী নদীর। একাধিক কজওয়ের উপর ওঠে জল। ফলে ঝাড়গ্রামের বিনপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের ১০-১৫ টি গ্রাম যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়। ১০ মিনিটের পথ আসতে সময় লাগছিল দুই থেকে তিন ঘণ্টা। যার ফলে স্কুলমুখো হননি কিছু শিক্ষক যার ফলে সাত আট দিন ধরে বন্ধ ছিল বেশ কয়েকটি স্কুল। স্থানীয়দের দাবি প্রতিনিয়ত আমাদের এলাকার ছেলেমেয়েদের নদী পেরিয়ে স্কুল ও টিউশন পড়তে যেতে হয়। অল্প বৃষ্টিতেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।

advertisement

ঝাড়গ্রামের পাপটপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় মিলিত হয়েছে ভৈরববাঁকী ও তারাফেনী নদী। মিলনস্থল থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ঢোলভাঙা ও নিশ্চিন্তপুর কজওয়ে। ভৈরববাঁকী ও তারাফেনী ব্যারাজ থেকে নিয়মিতভাবে ছাড়া জল ও ভারী বৃষ্টির ফলে টানা সাত দিন ধরে ডুবে রয়েছে ঢোলভাঙা ও নিশ্চিন্তপুর কজওয়ে। যার ফলে কড়াসাই, ঢোলভাঙ্গা, কুইলা, বাসাঝুড়ি সহ ১০-১৫ টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এই সব গ্রামগুলিতে আসতে গেলে প্রায় ৫০-৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তি পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। এক প্রকার নিরুপায় হয়েই শিক্ষকেরা স্কুলে আসতে পারেন নি। ফলে বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল বিনপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল। জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে তাদের জন্য বাড়তি ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তারা সিলেবাস থেকে পিছিয়ে না যায়।

advertisement

প্রতিবছর বর্ষা নামলেই দুর্ভোগ বাড়ে কড়াসাই, ঢোলভাঙ্গা, কুইলা, বাসাঝুড়ি সহ ১০-১৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের। কারণ এই সমস্ত গ্রামগুলোর তিনটি দিক ঘিরে রয়েছে নদী। নদীর জল বাড়লে কোনওভাবেই যাতায়াত করা সম্ভব হয় না এইসব এলাকার বাসিন্দাদের। হলে নিত্যনৈমিত্তিক কাজ থেকেও ব্যাহত থাকেন তারা। এখন দেখার বিষয় এটি কত তাড়াতাড়ি এই সমস্ত গ্রামগুলির সমস্যার সমাধান হয়। স্থানীয়দের দাবি ঢোল ভাঙা সেতু নির্মিত হলে উপকৃত হবেন এই গ্রামের মানুষ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram News: টানা বর্ষণের জেরে বন্ধ স্কুল! এলাকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল