আরও পড়ুন: চিপস চুরির অপবাদে নিজেকে শেষ! পাঁশকুড়ার সেই কিশোরের পারলৌকিক কাজ সারলেন বাবা-মা!
উল্লেখ্য গত ১৫ দিন ধরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও জলাধার গুলি জল ছাড়ায় জলস্তর বাড়ে তারাফেনী ও ভৈরববাঁকী নদীর। একাধিক কজওয়ের উপর ওঠে জল। ফলে ঝাড়গ্রামের বিনপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের ১০-১৫ টি গ্রাম যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়। ১০ মিনিটের পথ আসতে সময় লাগছিল দুই থেকে তিন ঘণ্টা। যার ফলে স্কুলমুখো হননি কিছু শিক্ষক যার ফলে সাত আট দিন ধরে বন্ধ ছিল বেশ কয়েকটি স্কুল। স্থানীয়দের দাবি প্রতিনিয়ত আমাদের এলাকার ছেলেমেয়েদের নদী পেরিয়ে স্কুল ও টিউশন পড়তে যেতে হয়। অল্প বৃষ্টিতেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।
advertisement
ঝাড়গ্রামের পাপটপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় মিলিত হয়েছে ভৈরববাঁকী ও তারাফেনী নদী। মিলনস্থল থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ঢোলভাঙা ও নিশ্চিন্তপুর কজওয়ে। ভৈরববাঁকী ও তারাফেনী ব্যারাজ থেকে নিয়মিতভাবে ছাড়া জল ও ভারী বৃষ্টির ফলে টানা সাত দিন ধরে ডুবে রয়েছে ঢোলভাঙা ও নিশ্চিন্তপুর কজওয়ে। যার ফলে কড়াসাই, ঢোলভাঙ্গা, কুইলা, বাসাঝুড়ি সহ ১০-১৫ টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এই সব গ্রামগুলিতে আসতে গেলে প্রায় ৫০-৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তি পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। এক প্রকার নিরুপায় হয়েই শিক্ষকেরা স্কুলে আসতে পারেন নি। ফলে বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল বিনপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল। জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে তাদের জন্য বাড়তি ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তারা সিলেবাস থেকে পিছিয়ে না যায়।
প্রতিবছর বর্ষা নামলেই দুর্ভোগ বাড়ে কড়াসাই, ঢোলভাঙ্গা, কুইলা, বাসাঝুড়ি সহ ১০-১৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের। কারণ এই সমস্ত গ্রামগুলোর তিনটি দিক ঘিরে রয়েছে নদী। নদীর জল বাড়লে কোনওভাবেই যাতায়াত করা সম্ভব হয় না এইসব এলাকার বাসিন্দাদের। হলে নিত্যনৈমিত্তিক কাজ থেকেও ব্যাহত থাকেন তারা। এখন দেখার বিষয় এটি কত তাড়াতাড়ি এই সমস্ত গ্রামগুলির সমস্যার সমাধান হয়। স্থানীয়দের দাবি ঢোল ভাঙা সেতু নির্মিত হলে উপকৃত হবেন এই গ্রামের মানুষ।