কেউ বলেন ভৈরবী, কেউ বলেন মহাকালীর মন্দির। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এই মন্দিরে নিয়মিত পুজো হলেও এখন কেবল দীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘটা করে বামাকালীর পুজো হয়। সারাবছর মন্দিরটি বিগ্রহহীন থাকলেও পুজোর দিনে দেবী মূর্তি নির্মাণ করে প্রথা মেনে মশালের আলোয় পুজো হয়। মন্দিরবাসিনী মন্দিরকে ঘিরেই পাশে গড়ে উঠেছিল দুর্গা মন্দির-সহ অনান্য দেব-দেবীর মন্দির। তবে কালীমন্দির ও শিবমন্দির বাদে অন্য মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই এখন খুঁজে পাওয়া যায় না।
advertisement
মন্দিরের সেবাইত সুভাষ সমাজদার জানান, “প্রথা মেনে আজও মন্দিরবাসিনী মায়ের গায়ের রং ও চক্ষুদান হয় পুজোর রাতেই। পুজোর পরেই বিসর্জন দেওয়া হয় রাতের অন্ধকারে। জাগ্রত মা মন্দিরবাসিনী। মায়ের কাছে ভক্তরা যা মানত করেন তাই পুরণ হয়। এলাকা তো বটেই, জেলার সব প্রান্ত থেকে এখানে পুজো দিতে যান প্রচুর ভক্ত।”
কালের গ্রাসে মন্দিরটির অবস্থা জীর্ণপ্রায়। মন্দিরের গায়ে অপূর্ব টেরাকোটার কারুকার্য। দেওয়ালের কিছু খিলানে কুলঙ্গি রয়েছে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গিয়েছে,সংস্কার হয়নি টেরাকোটার এই মন্দিরের। ধীরে ধীরে ভগ্নদশায় পরিণত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ভিকাহারের মন্দিরবাসিনী মন্দির।