অভিযোগ, গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে চুরির চেষ্টা, বাঁধা পেতেই ধারালো অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত হলেন গৃহবধূ। তাঁরপরেই অভিযুক্তদের খোঁজে তোলপাড় গোটা এলাকা। অবশেষে দু’দিন পর গ্রামে ফিরতেই উত্তেজিত জনতার হাতে ধরা পড়ল দুই যুবক। শুরু হয় বেধড়ক গণপিটুনি। শেষমেশ পুলিশের হাতেই তুলে দেওয়া হয় তাদের। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে সীমান্তের গ্রামাঞ্চল।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম প্রণব দাস ও মদন দাস। প্রণব বাংলাদেশের নাগরিক। কয়েকদিন ধরেই আত্মগোপন করেছিল জয়ন্তীপুরের বাসিন্দা মদন দাসের বাড়িতে। চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিবেশী কল্পনা দাসের বাড়িতে ঢুকে পড়ে তারা, সেইসময় কল্পনা দেবী তাদের বাধা দিতে যেতেই অভিযুক্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করেন বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এরপরেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কল্পনা দেবী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হিলি থানায়।
এদিন প্রণব ও মদন গ্রামে ফিরতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে গোটা জয়ন্তীপুরে। চারদিক থেকে মানুষ ছুটে এসে দু’জনকে ঘেরাও করে শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হিলি থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এরপর তাদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।