রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষকেন্দ্রগুলিতে লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। কিন্তু এমএসকে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের আওতায় না থাকায় শিক্ষকদের বেতন অনেকটাই কম। তারা মাদ্রাসা বোর্ডেরও অধীন নয়। বেতন বৃদ্ধি ও আইনি স্বীকৃতির দাবিতে এমএসকে-র শিক্ষকদের ৪০ দিনের অনশন উঠেছে এ মাসেই। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মধ্যস্থতায় অনশন ওঠে। তখনই মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রকে অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেহট্টের জনসভায় ঘোষণা করলেন, সরকার তাদের আর্থিক সাহায্যও দেবে।
advertisement
৪৯৫টি এমএসকে ও এসএসকে-র উপর পঠনপাঠনের জন্য নির্ভর করে সংখ্যালঘু সমাজের একটা বড় অংশ। কিন্তু অনেক মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্রেই পড়াশোনার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক সাহায্যের ঘোষণায় এবার হাল ফিরবে এমএসকে-র। এতকাল ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় পাস করলেও এমএসকে-র সার্টিফিকেটের দাম ছিল না। অনেক ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের তা কাজেও আসত না। বোর্ডের অনুমোদন মেলায় এমএসকে-র সার্টিফিকেটের গুরুত্বও বাড়তে চলেছে।