সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের সেফ করিডর হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর। অনেক অনুপ্রবেশকারীই বালুরঘাটে এসে ঘাঁটি গেড়ে অসামাজিক কাজকর্মে যুক্ত হয় বলে অভিযোগ জমা পড়ে পুলিশের কাছে। অতীতে লস্কর জঙ্গি আলি আহমেদ ধরা পড়ার পর যে ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তারপরও আটকানো যায়নি অনুপ্রবেশকারীদের আনাগোনা। জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী -
advertisement
- ২০১৫ সালে প্রায় ৫৫০জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার হয়েছে
- চলতি বছরে প্রায় ২০০জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে বালুরঘাট থানা
- হিলি থানার পুলিশ ধরেছে প্রায় ২০০ জনকে
- এক বছরে অন্তত ৪০০ জন অনুপ্রবেশকারীকে ধরেছে বিএসএফ
এদের অনেকেই বাড়ি বাড়ি পরিচারকের কাজের নামে অপকর্ম চালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এবার পরিচারক ও ভাড়াটের যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা পুলিশ। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকা ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিতে সিসিটিভি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মন্ত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
দেরিতে হলেও জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মানুষ। এখন দেখার, এই পদক্ষেপের পর দক্ষিণ দিনাজপুরে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা কতটা কমাতে পারে পুলিশ।