মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে কাউন্সিলিংয়ের প্রায় তিনশো কর্মপ্রার্থীকে ডাকা হয় । কর্মপ্রার্থীদের মেল অ্যাকাউন্টেও কাউন্সিলিংয়ে উপস্থিত থাকার জন্য মেসেজ যায়। কর্মপ্রার্থীরা জানান, তাদের প্রত্যেকের কাউন্সিলিংয়ে স্কুল নির্বাচন পর্যন্ত হয়ে যায়। তারপরও তাদের নিয়োগপত্র হাতে দেওয়া হয়নি।
এই নিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে রাতভর বিক্ষোভ চলে। আটকে পড়েন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অচিন্ত্য চক্রবর্তী। ঘটনাস্থলে যান বর্ধমান উত্তর মহকুমা শাসক মুফতি মহম্মদ সামিম। শেষ পর্যন্ত তার আশ্বাসে বিক্ষোভরত কর্মপ্রার্থীরা চেয়ারম্যান সহ সকলকে ছেড়ে দেন।
advertisement
পরদিন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিস আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনে যেতে বলা হয় কাউন্সিলিংয়ে উপস্থিত কর্মপ্রার্থীদের। কিন্তু সেখানে গিয়েও কোন সুরাহা না হওয়ায় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়োগপত্রের দাবীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অফিসের গেটে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন কর্মপ্রার্থীরা । তাদের দাবী অবিলম্বে প্যানেল ভুক্ত কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগ পত্র দিতে হবে। ছদিন বিক্ষোভ চলার পর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নিলেন। পাশাপাশি, তারা প্রশাসনের পরামর্শে ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন জানান।