আগে বর্ধমানের কাঞ্চননগরে রাজবাড়ি ছিল। দামোদরে বারংবার বন্যার কারণে উঁচু জায়গা বর্ধমান শহরের উত্তর ফটকে রাজবাড়ি সরিয়ে আনা হয়। গড়ে ওঠে সুদৃশ্য রাজবাড়ি মেহতাব মঞ্জিল। সেখানে এখন রয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের কার্যালয়। রাজবাড়ি তৈরির পর তার আশপাশে বসানো হয় বিভিন্ন বাজার। গড়ে তোলা হয় বিভিন্ন বিল্ডিং।
advertisement
তেমনই বিশাল এলাকা জুড়ে সোনাপট্টির পাশেই গড়ে তোলা হয়েছিল লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দির। এখানে পূজিত হন রাজবাড়ির কুল দেবতা রাধামাধব জিউ, লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ। রয়েছেন রাজ পরিবারের কুলদেবী মা চণ্ডীকা। মন্দিরের পেছনে মাটির গভীরে রয়েছে পাতালেশ্বর শিব। এই মন্দিরের বাইরের দিকে রয়েছে সুদৃশ্য রাসমঞ্চ।
এই লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে তিনশো বছরের বেশি সময় ধরে পটেশ্বরী দুর্গার পুজো হয়ে আসছে। পটে আঁকা দুর্গা। নাম তাই পটেশ্বরী। এছাড়া এখানে উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। টানা হয় রাজারানির রথ। অনুষ্ঠিত হয় দোলযাত্রা। সেই বিল্ডিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়ল।
এলাকার বাসিন্দা জয়দেব মুখোপাধ্যায় বলেন, বর্ধমানবাসীর কাছে অনেক আবেগের এই ঐতিহ্যবাহী মন্দির। সংস্কার অনেক আগেই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু রাজবাড়ির ট্রাস্ট্রি বোর্ড সেই বিশাল ব্যয়ভার বহন করতে পারেনি। শিল্প স্থাপত্যে অনন্য রাসমন্দিরটিও ভগ্নপ্রায়। আমরা চাই এই ঐতিহ্যমণ্ডিত মন্দির ও বিল্ডিংয়ের সংস্কার করুক প্রশাসন।
স্হানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতে মন্দিরের এই অংশ তালাবন্ধ থাকে। সকালে পুরোহিতরা এসে এই অবস্হা দেখতে পান। একটানা দীর্ঘদিন বৃষ্টির ফলে জল চুঁইয়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।