পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ বছর ধরে প্রতিমা দাস ও শ্যামল দাস একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। তাঁদের মধ্যে বৈবাহিক এবং পারিবারিক সম্পর্ক না থাকলেও স্থানীয় মহলে তাঁরা দম্পতি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে সম্প্রতি শ্যামল দাসের সঙ্গে অন্য এক মহিলার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এই সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি বেড়ে ওঠে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপের সঙ্গে অমাবস্যার জোড়া ফলা! সমুদ্রের তাণ্ডবে তছনছ কপিলমুনি আশ্রম! কী পরিস্থিতি গঙ্গাসাগরে?
অভিযোগকারীর বক্তব্য, ওই সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই প্রায়শই বাদানুবাদ হত দু’জনের মধ্যে। ঘটনার দিনও বাগবিতণ্ডা চলছিল। সেই সময় আচমকাই প্রতিমা দাস রান্নাঘর থেকে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে এসে শ্যামল দাসের চোখে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হন শ্যামল। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর শ্যামল দাসের পক্ষ থেকে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় পুলিশ এবং প্রতিমা দাসকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুনঃ বন্ধ ওভারব্রিজ! প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো মালগাড়ির নিচে… বারুইপুর স্টেশনে ভয়ঙ্কর দৃশ্য
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রতিবেশীদের অনেকেই বলছেন, বছর অধিককাল ধরে একসঙ্গে থাকার পর সম্পর্কের এমন রক্তাক্ত পরিণতি ভয়াবহ নজির হয়ে রইল। পুলিশের তদন্তে শেষ পর্যন্ত কী উঠে আসে, সেদিকেই এখন নজর সকলের।