এই রহস্য ধীরে ধীরে সন্দেহে পরিণত হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে এই খবর পান পারুলিয়া কোস্টাল থানার পুলিশ। এরপরই থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক শেখ আসাদুলের নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ নজর রাখে ওই যুবকের চলাফেরায়। আর এই নজর রাখতে রাখতেই একদিন তাঁর সমস্ত কর্মকাণ্ড ফাঁস হয়। রোজ রোজ আলাদা আলাদা সাইকেলের রহস্য ভেদ করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: বেসামাল অ্যাম্বুল্যান্স হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল দোকানে! ভাঙল সাইকেল, মোটরবাইক, আহত ৫
জানা যায়, সন্দেহভাজন ওই যুবকের নাম বাপ্পা মিস্ত্রি। তিনি পেশায় ট্রাকের হেল্পার। হঠাৎ একদিন পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়, আর হানা দিতেই দেখা যায় সেখানে রয়েছে চমকপ্রদ তথ্য – প্রায় ১৫টি সাইকেল রাখা রয়েছে ঘরে! একসঙ্গে ১৫টি সাইকেল। তাও আবার একজন ট্রাকের খালাসির বাড়িতে! এমনটা সত্যিই আশ্চর্যের হওয়ায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাপ্পা মিস্ত্রি স্বীকার করে, পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা ও আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় এই সাইকেলগুলি চুরি করেছে সে।
আরও পড়ুন: সেরা শিক্ষকের স্বীকৃতি, মালদহের শিক্ষক পেলেন দ্রোণাচার্য সম্মান! গর্বে বুকে ভরছে সবার
পুলিশের ধারণা, দীর্ঘদিন ধরেই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল ওই যুবক। শেষ পর্যন্ত বাপ্পাকে গ্রেফতার করে পারুলিয়া কোস্টাল থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সাইকেলগুলির প্রকৃত মালিকদের ফেরত দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
