এটা কোনও ঘর নাকি ফ্ল্যাট বাড়ি দেখে বোঝার উপায় নেই। মাটির তৈরি ঘরের ছাউনি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অর্থাৎ ঘর যা সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়েছে। মূলত এই সংস্থার পক্ষ থেকে সুন্দরবন এলাকার যে সমস্ত মানুষ যারা বাসস্থানহীন সেই সমস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে বিনামূল্যে তাদের দেওয়া হবে। তবে যদি কেউ এই ধরনের বাড়ি বানাতে চান তাদের যেখানে খরচ চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা, তা এক লাখের একটু বেশি খরচেই তৈরি করে দেবে এই সংস্থা। এর ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার রসদ খুঁজে পাচ্ছেন এলাকার মানুষজন।
advertisement
এই ঘরটির তৈরি করতে শুধু ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ, খড় এবং দড়ি। নিচের গ্রাউন্ডে ইট এবং সিমেন্ট ব্যবহার করা হলেও রডের ব্যবহার করা হয়নি। বাঁশের উপর সিমেন্ট, বালি, স্টোন দিয়ে ঢালাই, যা কমপক্ষে ১০০ বছর এই ঘরটিকে রক্ষা করবে বলে দাবি সংস্থার। সংস্থার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে সমস্ত দুঃস্থ দরিদ্র অসহায় মানুষ নিজেরা অর্থের ওভাবে ঘর করতে পারছেন না। অথচ বিগত দিনের ইয়াস, বুলবুল, আমফান, ফনি-র মতো বিধ্বংসী ঝড়ের ঘোষণা যখন এই আঁতকে ওঠেন প্রশাসনের ঘোষণা মতো লোটা কম্বল বেঁধে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যায়। তাদের কাছে সুখবর এনেছে মুক্তি নামক সংস্থা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মুক্তির আর্থিক সাহায্যে এলাকার মানুষের জন্য তৈরি হচ্ছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জাপানি টেকনোলজিতে বাড়ি। ইতিমধ্যেই ১০০রও বেশি ঘর বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে। যেখানে এক কামরা থেকে শুরু করে দুই কামরা পর্যন্ত ঘরে তৈরির ব্যবস্থা হয়েছে। এর ফলে খুশি এলাকার মানুষ। ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই সংস্থাকে।