পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে সায়ন্তিকার সঙ্গে প্রতিবেশী কৃ্ষ দাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে কৃ্ষের বিরুদ্ধে আগেও এলাকার একাধিক মহিলার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ ছিল। এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, মহিলাদের দেখিয়ে হস্তমৈথুন করার মতো জঘন্য কাজও করত সে। এই নিয়ে বহুবার কৃ্ষের পরিবারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নাচে-গানে জমজমাট নেপালি ভাষা মান্যতা দিবস! এই বিশেষ দিন কেন পালিত হয় জানেন?
পরিবারের দাবি, বুধবার বিকেলে সায়ন্তিকা ও কৃ্ষ ফোনে কথা বলছিল। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সায়ন্তিকা তাঁর মাকে মেসেজ করে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনের পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেন। তখন বাবা-মা দু’জনেই কাজে বাইরে ছিলেন এবং ছোট বোন টিউশনে গিয়েছিল। ফলে বাড়িতে কেউ ছিল না। এক প্রতিবেশী মহিলা প্রথম সায়ন্তিকাকে বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান, তাঁর পাশেই বসে ছিলেন কৃ্ষ। এরপরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কৃ্ষের বাবা জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলে যদি দোষী হয়, তাহলে তাঁর উপযুক্ত শাস্তি হোক’। ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সায়ন্তিকার পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, কৃ্ষকে খুঁজতে তল্লাশি চলছে, জোরকদমে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ সায়ন্তিকার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, কৃ্ষ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছিল। এবার যেন তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।