এই কাজের সূচনা করলেন কুলতলির বিধায়ক। এদিন বিধায়ক বলেন, এলাকার মানুষজনের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল দু’টি কংক্রিটের জেটির। কয়েক মাসের মধ্যে জেটির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। একটি জেটি পর্যটক ও মৎসজীবীদের বোটে ওঠার জন্য, আর একটি জেটি বোট থেকে নামার কাজে ব্যবহৃত হবে। ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকায় দু’টি জেটি তৈরি হবে। কুলতলির নৈপুকুরিয়া নদীর উপরে এই জেটি দু’টি নির্মাণ করা হবে। এই জেটিঘাট থেকে পর্যটকরা যেমন সুন্দরবন ভ্রমণে বার হবেন, তেমনই এই জেটি থেকে সহজেই মানুষজন দেউলবাড়ি ও কাঁটামারি বাজারে যেতে পারবেন।
advertisement
কাঁটামারি ও দেউলবাড়ি এলাকায় নিয়মিত ফেরি সার্ভিস আছে। নিয়মিত মৎসজীবীরা মাছ নিয়ে ওই এলাকার বাজারে যান। এছাড়া বহু পর্যটক কৈখালি থেকেই সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণে যান। এতদিন জেটিঘাট না থাকায় সমস্যায় পড়তে হত সবাইকে। তাঁদের সেই দাবি অবশেষে মান্যতা পেল। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তাঁদের পারাপার করতে সুবিধে হবে। এ’ছাড়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এই জেটিঘাট থেকে কাঁদা মারিয়ে কাটাখালী স্কুলে পরীক্ষা দিতে যেতে সমস্যা হত। জেটিঘাট তৈরি হলে তাঁদের সুবিধা হবে যাতায়াতে। মৎস্যজীবীদের মাছ ধরে ফিরে আসার পর জেটিঘাট না থাকায় সমস্যা হতো। জেটিঘাট তৈরি হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। এই দুটি জেঠিঘাট তৈরি হলে একদিকে যেমন যাতায়াতের সুবিধা হবে অন্যদিকে এলাকার উন্নতি হবে। তাই এলাকার মানুষজন চান, দ্রুত দুটি জেটি নির্মাণ করা হোক।
সুমন সাহা