বাড়ির সামনে থাকা অব্যবহৃত জায়গায় একসঙ্গে শাকসবজি, ফলমূল ও ভেষজ উদ্ভিদ চাষের একটি পদ্ধতি হল এই চাষ। কম জায়গার মধ্যে অনেক সবজি এইভাবে চাষ করা যাচ্ছে। যা পরিবারের সদস্যদের জন্য তাজা, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করে এবং পুষ্টিহীনতা দূরীকরণে সহায়তা করে।
advertisement
ভারত সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গ্রামীণ স্বনিযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের স্বনির্ভর হতে সহযোগিতা করেছে পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক ও রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। এ প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রামের অনেক মহিলারাই এখন স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন, মিনতি পাইক নামের এক মহিলা। গ্রামের মহিলারা একসময় নিজেদের ঘরের জন্যই যে সবজি চাষ করত সেই সবজি এখন তাদের উপার্জনের উৎস। মথুরাপুরের ভেটকিপুরে এরকম প্রায় ৪০ টি পুষ্টিবাগান তৈরি হয়েছে। এই কথা জানিয়েছেন উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সৌমেন হালদার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পুষ্টিবাগান কেবল স্বাস্থ্যকর খাবারই দেয় না, বরং অর্থ সাশ্রয় করে, অবসর সময়কে কাজে লাগায় এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে জৈব সার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ায়। পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। বাজার থেকে সবজি কেনার খরচ কমিয়ে আনে। পুষ্টিবাগানের ধারণা এভাবে গ্রামের মানুষজনের জীবন বদলে দেবে সেই কথা ভেবে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে সেখানে গ্রামের মহিলারা মন দিয়ে বাগানে কাজ করেন। এরপর উৎপাদিত ফসল একসঙ্গে বাজারে বিক্রি করেন।





