পিঠে-পুলির মরশুমে গুড় পাওয়া না গেলে সমস্যা আরও বাড়বে। যদিও গুড় প্রস্তুতকারকরা এর জন্য জ্বালানি সংকটের কথা তুলে ধরেছেন। তারা জানিয়েছেন সমস্যা হচ্ছে খেজুর রস থেকে গুড় তৈরিতে। খেজুর গাছ কাটার পর সেই পাতা দিয়ে রস জ্বাল দিলে সুস্বাদু গুড় পাওয়া যায়। কিন্তু খেঁজুর গাছের সংখ্যা আগের থেকে কমায় পাতাও মিলছে না। জ্বালানির এমন অবস্থা খড় দিয়েও জ্বাল দিতে হচ্ছে এখন। ফলে গুড়ে ধোঁয়া ভাব থেকেই যাচ্ছে। অপরদিকে পর্যাপ্ত কাঠ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সমস্যা হচ্ছে। আর এর ফলে
advertisement
এদিকে গুড় বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার কেজি দরে। সেখানে জ্বালানি খরচা পড়ছে প্রায় ১০০ টাকা। এই অবস্থা চলতে থাকলে গুড় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন গুড় প্রস্তুতকারকরা। এবছর রস সেভাবে মিলছে না। তার উপর জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গুড় তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে। জ্বালানি সংকটের প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ গুড়, দানাগুড় ও পাটালির দামেও। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে প্রয়োজনীয় জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে না। খেজুর রসের এই গুড় বিক্রি হয় স্থানীয় বাজারে এবং মিষ্টির দোকানে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
খেজুর রস সংগ্রহ করা থেকে গুড় প্রস্তুত করা পর্যন্ত যে পরিমাণে পরিশ্রম এবং আর্থিক খরচ হচ্ছে সেই তুলনায় মিলছে না খেজুর গুড়ের বাজার মূল্য। তবুও বাংলার অতি প্রাচীন ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে আজও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে খেজুর রস সংগ্রহ এবং খেজুর গুড় প্রস্তুত করে চলেছে বহু শিউলিরা।





