পরদিন ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ ওই হোটেল থেকে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে। এরপরই ওই হোটেলের ম্যানেজার এই বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এই কেসের তদন্তকারী পুলিশ অফিসার অর্পণ নায়েক তদন্ত শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা! ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক আগামিকাল...
তদন্তে গতি আনতে সাহায্য করেন ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শুভেন্দু দাস। তদন্তে নেমে প্রায় দেড় মাস পর অভিযুক্ত সমর পাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে এই ঘটনার বিচার চলতে থাকে। তবে বিচার চলাকালীন অভিযুক্ত জেলেই ছিল, একবারও জামিন পায়নি বলেই জানা যায়।
অবশেষে বুধবার এই খুনের ঘটনার রায় ঘোষণা করা হয়। এদিন কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতের বিচারক তপন কুমার মন্ডল অভিযুক্ত সময়কে ফাঁসির নির্দেশ দেন। এবিষয়ে কাকদীপ মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী অমিতাভ রায় জানান, ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পথ থেকেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তবে তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ কোথাও ফাঁকফোকর রাখেনি। এই কেসের তদন্তে ফরেন্সিক এক্সপার্টকেও কাজে লাগানো হয়। এছাড়াও ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ৬৩টি নথিপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বিচার বিবেচনার পর অবশেষে এদিন বিচারক ফাঁসির নির্দেশ দেন।
বিশ্বজিৎ হালদার